রাজনৈতিক সমঝোতা-অর্থনীতির স্বার্থ প্রাধান্য দিতে হবে
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন_ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আসিফ ইব্রাহিমের এ অভিমতের সঙ্গে দ্বিমত করার অবকাশ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নাকি অন্য কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে_ এ ইস্যুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। রোববার চেম্বার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণ গ্রহণের প্রবণতার
সমালোচনা করেন। 'ব্যাংকে তো টাকাই নেই, বিনিয়োগ হবে কোত্থেকে। এভাবে চলতে থাকলে সরকার তো চার-পাঁচ মাস পর বেতনই দিতে পারবে না'_ চেম্বার সভাপতির এ মন্তব্য নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাল দিতে চেম্বার নেতাদের দায়িত্ব সম্পর্কে তার নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। কিন্তু অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি যে হতাশাব্যঞ্জক, তাতে সন্দেহ নেই। মহাজোট সরকারের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে সমকাল দেশব্যাপী যে জরিপ পরিচালনা করেছে, তাতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অভিমত দিয়েছে_ সার্বিক অর্থনীতি ভালো চলছে না। এ থেকে উত্তরণের জন্য জনমতেও রয়েছে রাজনৈতিক সমঝোতার তাগিদ। আগামী দুই বছরে সরকারকে তারা দ্রব্যমূল্য হ্রাস এবং অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া ছাড়াও এ বিষয়টির প্রতি মনোযোগী হতে বলেছে। আমজনতার হিসাব পরিষ্কার_ রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি বাড়তে পারে। অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরনের কর্মসূচিতে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে প্রভাব পড়ে। শিল্প-বাণিজ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য এমন পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়_ এতে উৎপাদন এবং আমদানি-রফতানি কর্মকাণ্ড পরিচালনার কাজে দারুণ বিঘ্ন ঘটে। রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেরই দায় রয়েছে। এ দুটি দলের রয়েছে বিপুল জনসমর্থন এবং দুই যুগ ধরে তারাই পালাক্রমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার, রাজনৈতিক অচলাবস্থা বা এ ধরনের জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে শাসক দলকেই প্রথমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। তাদেরই প্রথম কদমটি ফেলতে হবে।
দেশবাসীর প্রতি বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়েছে দ্রব্যমূল্য। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ কয়েক ধরনের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রবলভাবে আমদানিনির্ভর। বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। অর্থনীতির ভাষায় যা 'মূল্যস্ফীতি আমদানি' হিসেবে অভিহিত হয়। দেশে উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘি্নত এবং চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে। তবে একই সঙ্গে এটাও বলা দরকার যে, ব্যবসায়ীদের একটি অংশের অসততাও ভোগ্যপণ্যের বাজারে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাদের অজুহাতের শেষ থাকে না। ধানের বাম্পার ফলনের কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলেও চালের ক্রেতারা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে স্বস্তিতে থাকে না। শীতকালীন সবজি কৃষক পর্যায়ে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন তেমন নেই। এ ধরনের পরিস্থিতির প্রতিকারে সরকারের অবশ্যই ভূমিকা রয়েছে। তবে একই সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্যের চেম্বারের নেতৃবৃন্দকেও তাদের দায়িত্ব ভুললে চলবে না। ব্যবসায়ে মুনাফা অবশ্যই থাকবে এবং এটাই বিনিয়োগের অন্যতম প্রেরণা। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার তাগিদে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
দেশবাসীর প্রতি বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়েছে দ্রব্যমূল্য। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ কয়েক ধরনের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রবলভাবে আমদানিনির্ভর। বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। অর্থনীতির ভাষায় যা 'মূল্যস্ফীতি আমদানি' হিসেবে অভিহিত হয়। দেশে উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘি্নত এবং চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে। তবে একই সঙ্গে এটাও বলা দরকার যে, ব্যবসায়ীদের একটি অংশের অসততাও ভোগ্যপণ্যের বাজারে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাদের অজুহাতের শেষ থাকে না। ধানের বাম্পার ফলনের কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলেও চালের ক্রেতারা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে স্বস্তিতে থাকে না। শীতকালীন সবজি কৃষক পর্যায়ে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন তেমন নেই। এ ধরনের পরিস্থিতির প্রতিকারে সরকারের অবশ্যই ভূমিকা রয়েছে। তবে একই সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্যের চেম্বারের নেতৃবৃন্দকেও তাদের দায়িত্ব ভুললে চলবে না। ব্যবসায়ে মুনাফা অবশ্যই থাকবে এবং এটাই বিনিয়োগের অন্যতম প্রেরণা। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার তাগিদে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
No comments