কালো টাকার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি-এই অশুভ প্রবণতা অবশ্যই রোধ করতে হবে
বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিবছরই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ঘোষণা থাকলেও বাস্তবে এর কোনো উপকার পাওয়া যাচ্ছে না। কালো টাকা কালো বা অবৈধই থেকে যাচ্ছে, সে অর্থ করের আওতায় বা বিনিয়োগে আসছে না। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে যেখানে অনুমিত কালো টাকার পরিমাণ ছিল জিডিপির ৫ থেকে ৭ শতাংশ, সেখানে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগেরই অনুমিত হিসাবে বলা হয়েছে, দেশে এখন কালো টাকার
পরিমাণ জিডিপির ৪৬ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বৈধ ও অবৈধ মুদ্রার গতিশীলতার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ অনুমিত সম্পর্ক অনুযায়ী এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি ২০১০ সালেও এই হার ৩৭ শতাংশের মতো ছিল বলে জানা যায়। বাংলাদেশে হঠাৎ করে কালো টাকার হার এ রকম আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? এ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের অনেকেই গভীর আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
কোনো দেশে কালো টাকার হার যত বাড়ে, ব্যক্তিবিশেষের হাতে সম্পদ তত বেশি কেন্দ্রীভূত হয়। দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। সমাজ ও অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে এর কুফল দেখা দেয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে রাষ্ট্রকে এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কালো টাকা নিয়ন্ত্রণের কোনো জোরদার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায় না। বরং নানাভাবে কালো টাকার মালিকদের তোষণই করা হয়েছে। এবারও বাজেট প্রণয়নের আগে নানা মহল থেকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও এ ব্যাপারে প্রথমে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলতি বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এই সুযোগও যে খুব একটা কাজে আসবে, তা মনে হয় না। কাজেই কালো টাকা চিহ্নিত করে তা করের আওতায় আনা এবং বিনিয়োগে বাধ্য করার মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমান সরকারকে অবশ্যই এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ রাখতে হবে। কালো টাকার আরেকটি অত্যন্ত ক্ষতিকর দিকও ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে। পত্রিকান্তরে জানা যায়, মানিলন্ডারিং ও অন্যান্য উপায়ে এ টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এ দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী কিছু বিদেশি ব্যাংকের প্রতিও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। অন্যদিকে দেশে মজুদদারিসহ অন্যান্য অনৈতিক ব্যবসা যুক্ত হচ্ছে, যার ফলে আমাদের পণ্যবাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কালো টাকা প্রধানত অপচয়, ভোগবিলাস, অনুৎপাদনশীল ব্যয়েই নিঃশেষ হয়, দেশের অর্থনীতির বিকাশে তার কোনো ভূমিকা থাকে না, বরং অর্থনীতিকে পঙ্গুই করে রাখে। দেশের উন্নয়ন তাতে ব্যাহত হয়। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে।
আমরা আশা করি, অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান কালো টাকার উদ্বেগজনক বৃদ্ধিরোধে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেবে। আর এ ক্ষেত্রে সরকারও সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
কোনো দেশে কালো টাকার হার যত বাড়ে, ব্যক্তিবিশেষের হাতে সম্পদ তত বেশি কেন্দ্রীভূত হয়। দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। সমাজ ও অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে এর কুফল দেখা দেয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে রাষ্ট্রকে এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কালো টাকা নিয়ন্ত্রণের কোনো জোরদার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায় না। বরং নানাভাবে কালো টাকার মালিকদের তোষণই করা হয়েছে। এবারও বাজেট প্রণয়নের আগে নানা মহল থেকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও এ ব্যাপারে প্রথমে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলতি বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এই সুযোগও যে খুব একটা কাজে আসবে, তা মনে হয় না। কাজেই কালো টাকা চিহ্নিত করে তা করের আওতায় আনা এবং বিনিয়োগে বাধ্য করার মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমান সরকারকে অবশ্যই এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ রাখতে হবে। কালো টাকার আরেকটি অত্যন্ত ক্ষতিকর দিকও ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে। পত্রিকান্তরে জানা যায়, মানিলন্ডারিং ও অন্যান্য উপায়ে এ টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এ দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী কিছু বিদেশি ব্যাংকের প্রতিও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। অন্যদিকে দেশে মজুদদারিসহ অন্যান্য অনৈতিক ব্যবসা যুক্ত হচ্ছে, যার ফলে আমাদের পণ্যবাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কালো টাকা প্রধানত অপচয়, ভোগবিলাস, অনুৎপাদনশীল ব্যয়েই নিঃশেষ হয়, দেশের অর্থনীতির বিকাশে তার কোনো ভূমিকা থাকে না, বরং অর্থনীতিকে পঙ্গুই করে রাখে। দেশের উন্নয়ন তাতে ব্যাহত হয়। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে।
আমরা আশা করি, অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান কালো টাকার উদ্বেগজনক বৃদ্ধিরোধে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেবে। আর এ ক্ষেত্রে সরকারও সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
No comments