নিখোঁজ শ্রমিকদের নিয়ে উদাসীনতা by শুভংকর কর্মকার
প্রথম এক
বছর সময় নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে ১৩৫ জনের একটি
তালিকা চূড়ান্ত করে। পরের ছয় মাস বাংলাদেশ তৈরি পোশাকশিল্প মালিক সমিতির
(বিজিএমইএ) একটি কমিটি তালিকার কাজ করে। এ সময় নতুন করে আরও ২৩ জনের নাম
যুক্ত করা হয়। তবে এগুলো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। বর্তমানে পুরো তালিকাটি
আছে শ্রম মন্ত্রণালয়ে। ফলে রানা প্লাজা ধসের পর দেড় বছর পার হলেও নিখোঁজ
শ্রমিকদের স্বীকৃত কোনো তালিকা হয়নি। তাই ভবনধসে কতজন নিহত হয়েছেন সেটিও
চূড়ান্ত হচ্ছে না। আর এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও বঞ্চিত
রয়েছেন নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা। তবে আইএলওর নেতৃত্বাধীন রানা
প্লাজা সমন্বয় কমিটি ১৪১ জন নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের দাবিনামা পূরণ
করেছে। জানতে চাইলে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু
অভিযোগ করে বলেন, শ্রমিকেরা বেঁচে থাকতে মালিকদের অবহেলার শিকার হয়েছেন।
মৃত্যুর পরও তাঁদের নিয়ে মালিকপক্ষ ও রাষ্ট্রের উদাসীনতা চলছে। এটি
ন্যক্কারজনক।
নিখোঁজ
শ্রমিকদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে সরকারের গাফিলতির প্রমাণও পাওয়া গেছে।
আছে জেলা প্রশাসন ও বিজিএমইএ উভয় পক্ষের অবহেলা। যেমন, জেলা প্রশাসনের
ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ গত জুনে তালিকার কাজ সম্পন্ন করে বসে থাকে। শ্রম
মন্ত্রণালয় বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে জমাই দেয়নি। তার আগে
গত এপ্রিলে জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তালিকা নিয়েই কাজ শুরু করে বিজিএমইএ। এ
জন্য সংগঠনের সহসভাপতি এস এম মান্নানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা
হয়।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জুনের মধ্যেই তালিকার কাজ শেষ করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে ১৪ অক্টোবর তালিকাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কমিটির ১৮ সদস্যের স্বাক্ষর নিতেই এত দিন কাটিয়ে দেয় বিজিএমইএ।
যোগাযোগ করলে কমিটির সদস্য সচিব জগলুল হায়দার এই সময়ক্ষেপণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ ১৫৮ জনের তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে ২৩ জনের বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি আরেকবার যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করতে।’
জানতে চাইলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা যথাযথ প্রমাণ নিয়ে এলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদান দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ নেই। তবে সরকার নিখোঁজদের তালিকা কবে প্রকাশ করবে কিংবা আদৌ করবে কি না এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কিছু বলেনি।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জুনের মধ্যেই তালিকার কাজ শেষ করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে ১৪ অক্টোবর তালিকাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কমিটির ১৮ সদস্যের স্বাক্ষর নিতেই এত দিন কাটিয়ে দেয় বিজিএমইএ।
যোগাযোগ করলে কমিটির সদস্য সচিব জগলুল হায়দার এই সময়ক্ষেপণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ ১৫৮ জনের তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে ২৩ জনের বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি আরেকবার যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করতে।’
জানতে চাইলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা যথাযথ প্রমাণ নিয়ে এলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদান দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ নেই। তবে সরকার নিখোঁজদের তালিকা কবে প্রকাশ করবে কিংবা আদৌ করবে কি না এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কিছু বলেনি।
No comments