পুলিশের ১৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি চূড়ান্ত- ১১ জনের প্রজ্ঞাপন by রোজিনা ইসলাম
প্রায় দুই বছর পর পুলিশ বাহিনীতে
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে মোট ১৮০ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি চূড়ান্ত
করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এঁদের মধ্যে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক
(ডিআইজি) ২১ জনকে, ৪৫ জনকে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ১১৪ জনকে অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার (অতিরিক্ত এসপি) হিসেবে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। দু-এক দিনের
মধ্যে এ সুপারিশ অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। অন্যদিকে পুলিশের
উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চলতি দায়িত্বে থাকা ১১ জনকে উপমহাপরিদর্শক
(ডিআইজি) পদে পদোন্নতির সুপারিশে গতকাল অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে গতিশীল করতে কর্মকর্তাদের টাইম স্কেল
বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) বৈঠকে মোট ১৮০ জনকে অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপি ও অতিরিক্ত এসপি পদে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে এসপি পদে ১৭, ২০, ২১, ২২ ও ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সূত্র। বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্রসচিব। অন্যদিকে ১৫ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) নবম সভায় ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়। এরপর গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ১১ ডিআইজি পদে পদোন্নতির সুপারিশে অনুমোদন দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, দীর্ঘদিন পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পদোন্নতি আটকে আছে। পদোন্নতির পর কর্মকর্তাদের কাজে আরও গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন, কোনো মামলা আছে কি না, সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা এবং নির্ধারিত সময় পার করেছেন কি না—এসব বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আগেও একইভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে কারা পদোন্নতি পেয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি বা তাঁর কমিটির কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসপি পদে ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২২ ব্যাচের কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করাকে নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের মতে, তাঁরা অতীতেও পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, এবারও হচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না। অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশসহ আবেদনও মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। সেই আবেদনও এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সূত্র।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালে ২০তম বিসিএসে পাস করে এএসপি পদে যোগ দিয়েছিলেন ১১৪ কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। একজন চাকরি ছেড়েছেন। দুজন অন্য ক্যাডারে চলে গেছেন। বর্তমানে ১১০ জন কর্মরত আছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন ছাড়া বাকিরা এসপি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ২০০৩ সালের ২১তম বিসিএসে এএসপি পদে ৫৩ জন নিয়োগ পান। সেখান থেকে একজনের চাকরি চলে গেছে। দুজন এসপি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। বাকি ৪৯ জন পদোন্নতির তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০০৩ সালের ২২তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ৪৫ জন। তাঁদের একজন মারা গেছেন। বাকি ৪৪ জনের তালিকাও গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া ২০০৫ সালে ২৪তম বিসিএস পাস করে এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন ২০৫ জন। বর্তমানে এই ব্যাচের প্রায় ২০০ জন কর্মরত আছেন।
ডিআইজি হলেন ১১ পুলিশ কর্মকর্তা: পুলিশের ১১ জন কর্মকর্তাকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন: অপরাধ তদন্ত ব্রাঞ্চের (সিআইবি) ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি মোশারফ হোসেন, বিশেষায়িত সিকিউরিটি ও প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) বিশ্বাস আফজাল হোসেন, পিবিআইয়ের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) শাহাবুদ্দিন কোরেশি, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি চলতি দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ মারুফ আদনান, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহীর মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার (ডিআইজি চলতি দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) নিবাস চন্দ্র মাঝি, এসবির ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) মাহবুব হোসেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) বৈঠকে মোট ১৮০ জনকে অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপি ও অতিরিক্ত এসপি পদে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে এসপি পদে ১৭, ২০, ২১, ২২ ও ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সূত্র। বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্রসচিব। অন্যদিকে ১৫ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) নবম সভায় ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়। এরপর গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ১১ ডিআইজি পদে পদোন্নতির সুপারিশে অনুমোদন দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, দীর্ঘদিন পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পদোন্নতি আটকে আছে। পদোন্নতির পর কর্মকর্তাদের কাজে আরও গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন, কোনো মামলা আছে কি না, সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা এবং নির্ধারিত সময় পার করেছেন কি না—এসব বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আগেও একইভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে কারা পদোন্নতি পেয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি বা তাঁর কমিটির কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসপি পদে ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২২ ব্যাচের কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করাকে নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের মতে, তাঁরা অতীতেও পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, এবারও হচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না। অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশসহ আবেদনও মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। সেই আবেদনও এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সূত্র।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালে ২০তম বিসিএসে পাস করে এএসপি পদে যোগ দিয়েছিলেন ১১৪ কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। একজন চাকরি ছেড়েছেন। দুজন অন্য ক্যাডারে চলে গেছেন। বর্তমানে ১১০ জন কর্মরত আছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন ছাড়া বাকিরা এসপি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ২০০৩ সালের ২১তম বিসিএসে এএসপি পদে ৫৩ জন নিয়োগ পান। সেখান থেকে একজনের চাকরি চলে গেছে। দুজন এসপি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। বাকি ৪৯ জন পদোন্নতির তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০০৩ সালের ২২তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ৪৫ জন। তাঁদের একজন মারা গেছেন। বাকি ৪৪ জনের তালিকাও গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া ২০০৫ সালে ২৪তম বিসিএস পাস করে এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন ২০৫ জন। বর্তমানে এই ব্যাচের প্রায় ২০০ জন কর্মরত আছেন।
ডিআইজি হলেন ১১ পুলিশ কর্মকর্তা: পুলিশের ১১ জন কর্মকর্তাকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন: অপরাধ তদন্ত ব্রাঞ্চের (সিআইবি) ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি মোশারফ হোসেন, বিশেষায়িত সিকিউরিটি ও প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) বিশ্বাস আফজাল হোসেন, পিবিআইয়ের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) শাহাবুদ্দিন কোরেশি, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি চলতি দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ মারুফ আদনান, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহীর মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার (ডিআইজি চলতি দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) নিবাস চন্দ্র মাঝি, এসবির ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) মাহবুব হোসেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
No comments