স্মরণ- ডা: মুহাম্মদ ওমর ফারুক by ডা. ফাতেমা ইয়াসমীন
মানবসেবার বহুমুখী কার্যক্রমের অন্যতম দিক হলো ‘স্বাস্থ্যসেবা’। মানুষ পাবে সেবা, চিকিৎসকদের সংস্পর্শে এলে লাভ করা যাবে কল্যাণ। ডা: মুহাম্মদ ওমর ফারুক ছিলেন এমন চিন্তাচেতনার পথিকৃৎ। চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার পর তার মধ্যে আলোড়ন শুরু হয় কিভাবে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়। গড়ে তোলেন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ‘হেলথ কেয়ার সার্ভিস অ্যাট লো কস্ট’ ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা’ এই প্রেরণা ছড়িয়ে দিলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিকিৎসকদের মধ্যে।
হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগত মান ও শিক্ষাগত যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিতেন, এর পাশাপাশি কমিশনমুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার কথা ভাবতেন। যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, সে দেশে যদি চিকিৎসার নামে চলে ব্যবসা, তা হয়ে যায় জুলুম। ল্যাবরেটরি টেস্ট ও হাসপাতালের ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবলম্বন করেন মধ্যপন্থা। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রথম ‘ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মতিঝিল, ঢাকার’ তিনি একজন উদ্যোক্তা। কম খরচে মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই হাসপাতালটি এমনভাবে মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলে, যার ফলে নতুন এই উদ্যোগ মাত্র এক বছরের মধ্যে সাফল্যের মুখ দেখে। আলোড়ন সৃষ্টি হয় আশপাশের হাসপাতালগুলোতে। তারাও বাধ্য হয় চিকিৎসাব্যয় কমাতে। উপকৃত হন সাধারণ জনগণ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে হাইটেক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ‘দি বারাকাহ কিডনি হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ গড়ার উদ্যোগ নেন। উদ্দেশ্য ‘হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা’। বিদেশগামী রোগীদের ফেরাতে গঠন করেন অত্যন্ত উন্নত মানের মেশিনারি ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ হাসপাতাল ‘দি বারাকাহ কিডনি হাসপাতাল’।
থানাপর্যায়ে ফিডার কিনিক গড়ে তুলে রেফারেল ব্যবস্থার মাধ্যমে শহরকেন্দ্রিক উন্নত চিকিৎসাসেবার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং হাসপাতাল, ডাগায়নস্টিক সেন্টার থেকে পরবর্তী সময়ে মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার জন্য তার ছিল নিরলস প্রচেষ্টা। বেশ কিছু উদ্যোক্তা ও চিকিৎসকের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন ডেল্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লি.। ডেল্টা ফার্মা অত্যন্ত স্বল্প সময়ে গুণে, মানে, আধুনিকতায় সবার নজর কাড়ে। শীর্ষ ২০টি কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নেয়।
মাত্র চার বছরের মধ্যে বহির্বিশ্বের ১৪টি দেশে ওষুধ রফতানি করে প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষের সৎপ্রচেষ্টা কত দ্রুত সাফল্যের মুখ দেখতে পারে। ওমর ফারুক মানুষ গড়ার কারিগর গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেন স্কুল প্রতিষ্ঠার। স্রষ্টাকে ভালোভাবে জানার জন্য, তার পথে চলার দিকনির্দেশনার জন্য কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়ার বিকল্প নেই। এই ধারণার আলোকে তিনি গড়ে তোলেন ‘কুরআনের ভাষা শিক্ষা সোসাইটি’।
ডা: মুহাম্মদ ওমর ফারুক বহুমুখী প্রতিভা। অনেক স্বপ্ন, অনেক উৎসাহ ছড়িয়ে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা কুড়িয়ে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে চলে গেছেন তার রবের সান্নিধ্যে। কর্মজীবনে সদা চঞ্চল মানুষটি ঘুমোতেন কম। বলতেন, ‘ঘুমাব গিয়ে কবরে, তখন তো আর কাজ থাকবে না’। আজ তিনি চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে আছেন। তার প্রেরণা ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষের মাঝে। আজ ২৪ অক্টোবর তার মৃত্যুবার্ষিকী। আল্লাহ তাকে এবং তার সব কর্মপ্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগত মান ও শিক্ষাগত যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিতেন, এর পাশাপাশি কমিশনমুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার কথা ভাবতেন। যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, সে দেশে যদি চিকিৎসার নামে চলে ব্যবসা, তা হয়ে যায় জুলুম। ল্যাবরেটরি টেস্ট ও হাসপাতালের ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবলম্বন করেন মধ্যপন্থা। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রথম ‘ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মতিঝিল, ঢাকার’ তিনি একজন উদ্যোক্তা। কম খরচে মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই হাসপাতালটি এমনভাবে মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলে, যার ফলে নতুন এই উদ্যোগ মাত্র এক বছরের মধ্যে সাফল্যের মুখ দেখে। আলোড়ন সৃষ্টি হয় আশপাশের হাসপাতালগুলোতে। তারাও বাধ্য হয় চিকিৎসাব্যয় কমাতে। উপকৃত হন সাধারণ জনগণ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে হাইটেক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ‘দি বারাকাহ কিডনি হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ গড়ার উদ্যোগ নেন। উদ্দেশ্য ‘হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা’। বিদেশগামী রোগীদের ফেরাতে গঠন করেন অত্যন্ত উন্নত মানের মেশিনারি ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ হাসপাতাল ‘দি বারাকাহ কিডনি হাসপাতাল’।
থানাপর্যায়ে ফিডার কিনিক গড়ে তুলে রেফারেল ব্যবস্থার মাধ্যমে শহরকেন্দ্রিক উন্নত চিকিৎসাসেবার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং হাসপাতাল, ডাগায়নস্টিক সেন্টার থেকে পরবর্তী সময়ে মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার জন্য তার ছিল নিরলস প্রচেষ্টা। বেশ কিছু উদ্যোক্তা ও চিকিৎসকের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন ডেল্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লি.। ডেল্টা ফার্মা অত্যন্ত স্বল্প সময়ে গুণে, মানে, আধুনিকতায় সবার নজর কাড়ে। শীর্ষ ২০টি কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নেয়।
মাত্র চার বছরের মধ্যে বহির্বিশ্বের ১৪টি দেশে ওষুধ রফতানি করে প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষের সৎপ্রচেষ্টা কত দ্রুত সাফল্যের মুখ দেখতে পারে। ওমর ফারুক মানুষ গড়ার কারিগর গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেন স্কুল প্রতিষ্ঠার। স্রষ্টাকে ভালোভাবে জানার জন্য, তার পথে চলার দিকনির্দেশনার জন্য কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়ার বিকল্প নেই। এই ধারণার আলোকে তিনি গড়ে তোলেন ‘কুরআনের ভাষা শিক্ষা সোসাইটি’।
ডা: মুহাম্মদ ওমর ফারুক বহুমুখী প্রতিভা। অনেক স্বপ্ন, অনেক উৎসাহ ছড়িয়ে মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা কুড়িয়ে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে চলে গেছেন তার রবের সান্নিধ্যে। কর্মজীবনে সদা চঞ্চল মানুষটি ঘুমোতেন কম। বলতেন, ‘ঘুমাব গিয়ে কবরে, তখন তো আর কাজ থাকবে না’। আজ তিনি চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে আছেন। তার প্রেরণা ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষের মাঝে। আজ ২৪ অক্টোবর তার মৃত্যুবার্ষিকী। আল্লাহ তাকে এবং তার সব কর্মপ্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
No comments