ওয়াটারগেটখ্যাত বেন ব্র্যাডলির বিদায়
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কিংবদন্তিপ্রতিম সাবেক সম্পাদক বেন ব্র্যাডলি (৯৩) আর নেই। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে নিজের বাড়িতে মারা গেছেন তিনি। বহুল আলোচিত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো তাঁর তত্ত্বাবধানেই প্রকাশিত হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। খবর এএফপি ও বিবিসির। সৃজনশীলতা এবং ‘সেনাবাহিনীসুলভ সাহসিকতার’ জন্য প্রশংসিত হয়েছেন বেন ব্র্যাডলি। ১৯৬৮–১৯৯১ পর্যন্ত ওয়াশিংটন পোস্ট-এর নেতৃত্ব দেন তিনি। বেন ব্র্যাডলির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত সংবাদকর্মী।’ ওবামার কাছ থেকেই গত বছর যু্ক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল ফর ফ্রিডম’ গ্রহণ করেন ব্র্যাডলি। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রকাশকের দায়িত্ব পালনকারী ডোনাল্ড ই. গ্রাহাম বলেছেন,
ব্র্যাডলি ছিলেন তাঁর সময়ে মার্কিন সেরা সম্পাদক। ব্র্যাডলির সম্পাদনার সময়ই ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ করে পুলিৎজার পুরস্কার জেতে ওয়াশিংটন পোস্ট। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নাম পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ওয়াটারগেট হোটেল থেকে। সেখানে ১৯৭২ সালের ১৭ জুন ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটির বৈঠকে আড়ি পেতেছিল রিপাবলিকান পার্টির নেতা ও তখনকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসন। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দুই তরুণ প্রতিবেদক বব উডওয়ার্ড এবং কার্ল বার্নস্টাইনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সম্পাদক ব্র্যাডলি। তাঁদের প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক নজরদারি এবং নোংরা প্রতারণার ঘটনা প্রকাশিত হয়। পরিণামে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ১৯৭৪ সালে অভিশংসিত ও পদচ্যুত হন। ব্র্যাডলির নেতৃত্বে ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯৭১ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়ে সরকারের গোপন ও বিব্রতকর ভূমিকার তথ্যসংবলিত ‘পেন্টাগন পেপার্স’ও প্রকাশ করে।
No comments