পাকিস্তানকে নিরস্ত্রীকরণ বিল পার্লামেন্টে উপস্থাপন-সহিসংতা এড়াতে আমার নেওয়া পদক্ষেপ সফল : রেহমান মালিক
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক ও প্রধান বিরোধী দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত একটি বিল গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) বিলটি উপস্থাপন করেছে।
'ডিওয়েপনাইজেশন অব পাকিস্তান বিল অব ২০১১' শীর্ষক প্রস্তাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ উৎপাদন, বিস্তার, পাচার, আমদানি এবং ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানানো হয়েছে। আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই) ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে।পার্লামেন্টে এমকিউএমের নেতা ফারুক সাত্তার পার্লামেন্ট সচিবালয়ে খসড়া প্রস্তাবটি জমা দেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে শান্তি নষ্ট করছে। এ কারণেই পুরো দেশকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে।
ধর্মমন্ত্রী খুরশিদ শাহ বলেন, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য জরুরি ভিত্তিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। কট্টরপন্থী নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমান এ প্রস্তাবকে 'প্রতারণামূলক' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। কাজেই দেশের মানুষ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের কাছে অস্ত্র রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করাচি ও কোয়েটায় গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক শর বেশি মানুষ। এ প্রসঙ্গে গতকাল রাজধানী ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিদিন হাজারা, শিয়া ও সুনি্ন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
মহররম মাসের প্রথম দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ এবং মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ করায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ কারণে ৭৫ শতাংশ হতাহত এবং ৬০ শতাংশ অপরাধমূলক ঘটনা কম ঘটেছে।'
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সব বেসরকারি মোবাইল ফোন কম্পানির সিম বিক্রি বন্ধ করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অনিবন্ধিত সিমের ব্যবহার বন্ধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র : ডন, এঙ্প্রেস ট্রিবিউন।
No comments