ক্ষমতায়ন

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নারীরা তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস-এর বিশ্বের ক্ষমতাবান নারীর তালিকায় শীর্ষে থাকা তেমনই দুই নারীকে নিয়ে এই প্রতিবেদন। চন্দা কোচার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, আইসিআইসিআই ব্যাংক
বর্তমানে ভারতের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক হচ্ছে দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (আইসিআইসিআই) ব্যাংক লিমিটেড। এখন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। আর এ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হলেন চন্দা কোচার। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটির করপোরেট সেন্টারের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাঁর জন্ম ১৯৬১ সালে রাজস্থানের যোধাপুরে। জয় হিন্দ কলেজ থেকে স্নাতক এবং জামনালাল বাজাজ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। চন্দা পড়াশোনায় ভালো করায় জিতে নেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ স্বর্ণপদক। ১৯৮৪ সালে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন এই ব্যাংকে। ক্রমান্বয়ে নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পদে কাজ করছেন। ২০০৫ সালে বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফরচুন-এ ব্যবসা খাতে প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় স্থান নেওয়ার পাশাপাশি এশিয়ান বিজনেস লিডারশিপ ফোরাম পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস-এর প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় চন্দার নাম আছে ২০০৯ সালথেকে। বর্তমানে মুম্বাইয়ে বসবাসকারী চন্দা কোচারের স্বামী দীপক কোচার একজন উদ্যোক্তা। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে।

শাইখা আল-বাহার
প্রধান নির্বাহী, কুয়েত ন্যাশনাল ব্যাংক (কুয়েত)
বিশ্বের ১৭৬টি দেশে রয়েছে কুয়েত ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা। যার মূল কাজ পরিচালিত হয় কুয়েত থেকে। আর এ ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী শাইখা আল-বাহার। কুয়েতে জন্মগ্রহণকারী শাইখা আল-বাহার হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল, স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে কাজ শুরু করেন। কুয়েত ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শাইখা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অব কাতারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং আল ওয়াতানি ব্যাংক অব ইজিপ্টের চেয়ারউইমেন হিসেবেও কাজ করছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন নানা পুরস্কার। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস-এর ১০০ প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রভাবশালী আরব ব্যবসায়ী নারীদের তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন।
গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী, তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.