গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ড. কামাল হোসেন-তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের সময় আসেনি

ত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে হুট করে বাতিল করে দেওয়ার সময় আসেনি। আদালতের এমন আদেশে আমরা অবাক হয়েছি। এ বিষয়ে সংসদে অর্থপূর্ণ আলোচনা হতে পারত।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন মিলনায়তনে ৭১ টেলিভিশন আয়োজিত ‘সংবাদমাধ্যমের আজ ও আগামী: ৭১-এর কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষে সংবাদকর্মীদের কাছে ড.


কামাল হোসেন এ কথা বলেন। ‘প্রেক্ষিত: গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনা শেষে কামাল হোসেন আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করা হয়। গত ১৬ বছরে চারটি নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর আদালতে এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। সরকার যে সংশোধনী এনেছে, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সে সংশোধনীতেও সংশোধন আনা যায়।’
এ পর্বে আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, এ বাক্যটি সংবিধানের সর্বোত্তম বাক্য। কিন্তু জনগণের কয়টা কথা আমরা শুনি?’
আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘জনগণ ভুল করে না। তাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল দেশের সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। আরও বক্তব্যদেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান।
৭১ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘৭১ টেলিভিশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে জনগণ সরাসরি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।’
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘প্রেক্ষিত: সাংবাদিকতা, নিরপেক্ষতা ও একাত্তরের চেতনা’ শীর্ষক পর্বে আলোচনায় অংশ নেন নূরুল কবির, নাইমুল ইসলাম খান, শ্যামল দত্ত, আসিফ নজরুল, আসাদুজ্জামান ও মিনার মাহমুদ।
তৃতীয় পর্বে ‘প্রেক্ষিত: বাঙালির সংস্কৃতি ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘একাত্তর টেলিভিশন নামের মধ্যে এক ধরনের দ্যোতনা আছে। তাই এক ধরনের প্রত্যাশাও আছে।’ অনুষ্ঠানের এ পর্বে আবু সাইয়ীদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, তুষার আবদুল্লাহ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

No comments

Powered by Blogger.