বিবিয়ানা-ধনুয়া ১৬৭ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন লাইন-দেড় বছরে বাস্তবায়নের উচ্চাভিলাষী পথনকশা
প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয় ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে। ২০১১ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন করে। এরপর দেড় বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের একটি উচ্চাভিলাষী পথনকশা তৈরি করা হয়েছে। এর অর্থ, ২০১৩ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্ভব না-ও হতে পারে। কিন্তু সারা দেশে, বিশেষ করে, ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তর, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সঞ্চালনের নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো
গড়ার জন্য বিবিয়ানা-ধনুয়া ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন স্থাপন করতে ওই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সোমবার ওই পাইপলাইনের জন্য বিশেষায়িত পাইপ কেনার চুক্তি সই করেছে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ও পাইপ সরবরাহকারী ভারতের ম্যান ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে দেড় বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী কি না, প্রশ্ন করা হয়।
এর জবাবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, উচ্চাভিলাষী, কিন্তু অসম্ভব নয়। বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, উচ্চাভিলাষী হওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে বাস্তবায়নের সুপরিকল্পিত পথনকশা করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলে শুকনো মৌসুমে কাজ করতে পারলে ২০১৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব নয়। আর জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন বলেন, উচ্চাভিলাষী না হলে তো এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
গ্যাস খাতের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে জমি অধিগ্রহণে। সেই কাজ এখনো হয়নি। তা ছাড়া, পাইপলাইন স্থাপনসহ আরও কয়েকটি কাজের জন্য আলাদা চুক্তি সই করতে হবে। কাজেই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সম্পর্কে সঠিক কিছু বলা যায় না।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, পাইপলাইনটির অনেক অংশ স্থাপিত হবে হাওরাঞ্চলের মধ্য দিয়ে। কাজেই এসব জায়গায় কাজ করা যাবে শুধু শুকনো মৌসুমের কয়েক মাস। আগামী দেড় বছরের মধ্যে দুটি শুকনো মৌসুম পাওয়া যাবে। এ সময়ে হাওরাঞ্চলের কাজের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে। এত দীর্ঘ ও মোটা পাইপলাইন দেশে এই প্রথম স্থাপিত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) নামে ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিনা দরপত্রে। এক হাজার ৬৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকার এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে সরকার, পেট্রোবাংলা ও এর সহযোগী কোম্পানিগুলো।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দীর্ঘদিন ধরে বিধ্বস্ত ছিল। এখনো আমরা সমস্যার মধ্যেই আছি। যতটা দরকার ততটা হাতে নেই। তবে ২০১৩ সালে ভরসাম্যের আশা করছি।’
জ্বালানিসচিব এ খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, রাজশাহীতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে শুধু শিল্পে গ্যাস দেওয়া হবে। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য নয়। আর যত দ্রুত সম্ভব এলপি গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করে পাইপলাইন গ্যাসের সঙ্গে একটা সামঞ্জস্য করা হবে।
অনুষ্ঠানে এ ছাড়া সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, জিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রহমান এবং ভারতের ম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্রঘানি বক্তব্য দেন।
এর জবাবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, উচ্চাভিলাষী, কিন্তু অসম্ভব নয়। বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, উচ্চাভিলাষী হওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে বাস্তবায়নের সুপরিকল্পিত পথনকশা করা হয়েছে। হাওরাঞ্চলে শুকনো মৌসুমে কাজ করতে পারলে ২০১৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব নয়। আর জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন বলেন, উচ্চাভিলাষী না হলে তো এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
গ্যাস খাতের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে জমি অধিগ্রহণে। সেই কাজ এখনো হয়নি। তা ছাড়া, পাইপলাইন স্থাপনসহ আরও কয়েকটি কাজের জন্য আলাদা চুক্তি সই করতে হবে। কাজেই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সম্পর্কে সঠিক কিছু বলা যায় না।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তা নিশ্চিত।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, পাইপলাইনটির অনেক অংশ স্থাপিত হবে হাওরাঞ্চলের মধ্য দিয়ে। কাজেই এসব জায়গায় কাজ করা যাবে শুধু শুকনো মৌসুমের কয়েক মাস। আগামী দেড় বছরের মধ্যে দুটি শুকনো মৌসুম পাওয়া যাবে। এ সময়ে হাওরাঞ্চলের কাজের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে। এত দীর্ঘ ও মোটা পাইপলাইন দেশে এই প্রথম স্থাপিত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) নামে ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিনা দরপত্রে। এক হাজার ৬৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকার এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে সরকার, পেট্রোবাংলা ও এর সহযোগী কোম্পানিগুলো।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দীর্ঘদিন ধরে বিধ্বস্ত ছিল। এখনো আমরা সমস্যার মধ্যেই আছি। যতটা দরকার ততটা হাতে নেই। তবে ২০১৩ সালে ভরসাম্যের আশা করছি।’
জ্বালানিসচিব এ খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, রাজশাহীতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে শুধু শিল্পে গ্যাস দেওয়া হবে। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য নয়। আর যত দ্রুত সম্ভব এলপি গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করে পাইপলাইন গ্যাসের সঙ্গে একটা সামঞ্জস্য করা হবে।
অনুষ্ঠানে এ ছাড়া সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, জিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রহমান এবং ভারতের ম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্রঘানি বক্তব্য দেন।
No comments