ভালো মুনাফা করেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো -পরিচালন মুনাফা থেকে কর, প্রভিশনসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে নিট
শেয়ারবাজারে মন্দা থাকলেও সদ্য সমাপ্ত ২০১১ সালে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো তুলনামূলক বিচারে বেশ ভালো পরিচালন মুনাফা করেছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে শেয়ারবাজার থেকে অনেক বড় অঙ্কের মুনাফা করে অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক। শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত মুনাফা তাদের মোট পরিচালন মুনাফাকে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে গেল বছরে শেয়ারবাজার থেকে লাভ তো দূরের কথা, অনেককেই বড় অঙ্কের
লোকসান গুনতে হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কমিয়ে আনা এবং এখান থেকে মুনাফা কম হলেও ব্যাংকগুলো মুনাফার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এর কারণ, আগের বছরের তুলনায় গত বছর বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ অনেক চাঙ্গা হয়েছে। আমদানির জন্য ঋণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এ ছাড়া ঋণের সুদের হারের ওপর সীমা তুলে নেওয়ায় গত মার্চ থেকে সুদের হার অনেক বেড়েছে। ব্যাংকগুলো অনেক নতুন শাখা খুলেছে। সার্বিক মুনাফার ওপর এগুলোর প্রভাব পড়েছে। তবে কিছু ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রায় সবাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। ব্যাংকগুলো কিছুদিন পরে তাদের বার্ষিক অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কাছে পেশ করবে। এরপর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এর আগে তা প্রকাশের ওপর এসইসির বিধিনিষেধ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে বেশ কিছু ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে কর, প্রভিশনসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত মুনাফা হিসাব করা হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক পরিচালন মুনাফা সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকটির মোট পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১৪৫০ কোটি টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল ৯৬০ কোটি টাকা। প্রাইম ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৮২৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। গেল বছর ইউসিবিএল পরিচালন মুনাফা করেছে ৬২০ কোটি টাকা। আগের বছর ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৪৭৩ কোটি টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে ৬১০ কোটি টাকা। আগের বছরে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৬৭৭ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৬০০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৮২৪ কোটি টাকা।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০১১ সালে পরিচালন মুনাফা করেছে ৫১৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১০০ কোটি টাকা বেশি। ২০১১ সালে আইএফআইসি ৩২০ কোটি টাকা, পূবালী ৫৯৭ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা, এক্সিম ৫০৭ কোটি টাকা, এনসিসিবিএল ৪২২ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ৪৬৫ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ৩৯০ কোটি টাকা, শাহজালাল ৩১৫ কোটি টাকা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩০৬ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ২৩৮ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ১৬৩ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংক ২৭৫ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংক ৩২০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে ১২৫ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ১ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, জনতা দেড় হাজার কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংক ৩২৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রায় সবাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। ব্যাংকগুলো কিছুদিন পরে তাদের বার্ষিক অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কাছে পেশ করবে। এরপর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এর আগে তা প্রকাশের ওপর এসইসির বিধিনিষেধ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে বেশ কিছু ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে কর, প্রভিশনসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত মুনাফা হিসাব করা হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক পরিচালন মুনাফা সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকটির মোট পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১৪৫০ কোটি টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল ৯৬০ কোটি টাকা। প্রাইম ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৮২৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। গেল বছর ইউসিবিএল পরিচালন মুনাফা করেছে ৬২০ কোটি টাকা। আগের বছর ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৪৭৩ কোটি টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে ৬১০ কোটি টাকা। আগের বছরে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৬৭৭ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৬০০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৮২৪ কোটি টাকা।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০১১ সালে পরিচালন মুনাফা করেছে ৫১৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১০০ কোটি টাকা বেশি। ২০১১ সালে আইএফআইসি ৩২০ কোটি টাকা, পূবালী ৫৯৭ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা, এক্সিম ৫০৭ কোটি টাকা, এনসিসিবিএল ৪২২ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ৪৬৫ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ৩৯০ কোটি টাকা, শাহজালাল ৩১৫ কোটি টাকা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩০৬ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ২৩৮ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ১৬৩ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংক ২৭৫ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংক ৩২০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে ১২৫ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ১ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, জনতা দেড় হাজার কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংক ৩২৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে।
No comments