হোঁচট খেল চেলসিও

পুরনো হয়ে যাওয়া বছরের শেষ ম্যাচে দিদিয়ের দ্রগবা চেলসির হয়ে ১৫০তম গোল করেছেন। তার গোলেই অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। বছরের শেষটা জয় দিয়ে হচ্ছে ভেবে হয়তো একটু স্বস্তিও বোধ করছিলেন চেলসি কোচ ভিলাস বোয়াস; কিন্তু ম্যাচ শেষে বোয়াসের সেই স্বস্তি আর থাকেনি। দ্রগবাও তার ১৫০তম গোল উৎসবটা পালন করতে পারেননি। এগিয়ে যাওয়ার পরও হারের তিক্ত স্মৃতি হয়েছে তাদের সঙ্গী। ১-৩ গোলে হেরেছে সাবেক
চ্যাম্পিয়ন দলটি। ঠিক একই পরিণতি মেনে নিতে হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। পয়েন্ট টেবিলের নিচের দল ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে তারা ২-৩ গোলে হেরে শেষ করেছে পুরনো বছরটা। ফলে কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের ৭০তম জন্মদিনের উৎসব পালনের আয়োজনটা হঠাৎ করেই উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। বোয়াস ও ফার্গুসনের হতাশার দিনে তিনি আনন্দের সুযোগ পেয়েছেন। তার দল ১-০ গোলে হারায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে। রবিন ভ্যান পার্সি করেন গোলটি।
বছরের শেষ ম্যাচ। তার ওপর কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের জন্মদিন। অল্প সময়ের জন্য হলেও ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে শীর্ষে আসার হাতছানি। প্রতিপক্ষ ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স হওয়ায় জয়টা যেন দেখতেই পাচ্ছিল ম্যানইউ সমর্থকরা। পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নিচের দলের বিপক্ষে ম্যাচ। তাছাড়া ম্যাচটি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। রোভার্সের তো উড়ে যাওয়ার কথা; কিন্তু ম্যাচের শুরুটাই হলো নাটকীয়তা দিয়ে। শেষেও থাকল তাই। ১৬ মিনিটের এক পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রোভার্স। ইয়াকুবু পেনাল্টি থেকে করেছিলেন গোলটি। প্রথমার্ধে ম্যানইউ ম্যাচে সমতা আনতে পারেনি। যদিও একাধিক আক্রমণ তারা রচনা করেছিল। সে সঙ্গে সুযোগও পেয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ম্যানইউ ছিল মরিয়া; কিন্তু যা হলো সেটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। ৫১ মিনিটে ওই ইয়াকুবু আবার গোল করেন। ম্যাচে রোভার্স এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। তবে বেশিক্ষণ এই ব্যবধান ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ৫২ মিনিটে বার্বাতভের গোলে ব্যবধান কমায় ম্যানইউ। শুধু তাই নয় ১০ মিনিট পর বার্বাতভ আবার গোল করেন। খেলা ফেরে সমতায়। স্বস্তি ফেরে ম্যানইউ শিবিরে। সে সঙ্গে জয়েরও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ম্যানইউ। হাতছানি দিতে থাকে শীর্ষস্থান; কিন্তু ৮০ মিনিটে গ্র্যান্ট হ্যানলের গোল তাদের সে স্বপ্ন চুরমার করে দেয়। ব্ল্যাকবার্ন ৩-২ গোলে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ। ফার্গুসন জন্মদিন পালনের আগ্রহে নিঃসন্দেহে কিছুটা ভাটা পড়ে। সে সঙ্গে ম্যানইউ শিবিরে নতুন বছরকে স্বাগত পালনের উৎসবেও।
এ হারে স্বাভাবিকভাবে অ্যালেক্স ফার্গুসন চরম হতাশ হয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'এটা হতাশাজনক। এমনটা আমি কখনও কল্পনাও করিনি। আমরা দুটো বাজে গোল হজম করেছি। এটা কখনোই হতে পারে না।'

No comments

Powered by Blogger.