চোখ ধাঁধানো আতশবাজিতে মাতোয়ারা বিশ্ব

তশবাজি আর চোখ ধাঁধানো নানা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী সাদরে বরণ করল নতুন বছর ২০১২। এশিয়া থেকে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আফ্রিকা ছিল উৎসবে মাতোয়ারা। অন্যদিকে নতুন বছর উদযাপনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তানের করাচিতে বর্ষবরণ উদযাপনের সময় বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছে ৩ জন। প্রধান শহরগুলোয় জারি করা হয় সতর্ক বার্তা। ফিলিপাইনে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় আতঙ্কিত ব্যক্তিদের ছোটাছুটিতে ৫০০


জন আহত হয়। রাশিয়ায় বছরের প্রথম দিনেও পুতিনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। মস্কোর এ বিক্ষোভ থেকে প্রায় ৬০ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিগ বেনের ঘণ্টাধ্বনির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে ব্রিটিশরা। লন্ডন আইয়ে শুরু হওয়া আতশবাজি দেখতে লন্ডনে জড়ো হয়েছিল লাখখানেক মানুষ। অন্যদিকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল টেমস নদীর ওপরে আলোর খেলা দেখতে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গ্রিনিচ মান সময় ১৩০০তে শুরু হয় আতসবাজি। সিডনি হারবার ব্রিজের চারপাশে জড়ো হয় ১০ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে শহরে ঢল নেমেছিল উৎসবের। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার জনতা। তবে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মরকেলের বর্ষবরণের বার্তায় ছিল ভিন্ন সুর। তিনি বলেছেন, ২০১২ সাল আরও কঠিন হতে পারে। একই কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। তিনি বলেছেন, ২০১২ সাল হবে আরও ঝুঁকিপুর্ণ।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে হাজার হাজার জনতা এই উৎসব উপভোগ করেছে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর সমুদ্রসৈকতে আয়োজন করা হয়েছিল আতশবাজির মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী। ওদিকে উত্তর কোরিয়া নতুন বছরে দেশটির নতুন নেতা কিম জং উনকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.