আশিয়ানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা প্রকল্প বন্ধ
জলাভূমি ভরাট ও অবৈধ দখলের অভিযোগে আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টস-এর দক্ষিণখান এলাকার একটি আবাসন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণখান থানার আশকোনা ও কাওলায় এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব-১ ও ২-এর সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুনির চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশিয়ান কর্তৃপক্ষ সরকারি ও বেসরকারি জমি দখল, জলাভূমি ভরাট এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত দখল করছে। তিন ঘণ্টার অভিযানে আটটি বুলডোজার ও ছয়টি ট্রাক জব্দ করা হয়।
মুনির চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ের মাধ্যমে জানা যায়, ২৩০ একরের ওই প্রকল্পের মধ্যে আশিয়ান কর্তৃপক্ষ ৫৫ একর জমি কিনে নাম জারি করে। ৪০ থেকে ৫০ একর জলাভূমি হিসেবে চিহ্নিত জমি বালু দিয়ে ভরাট করেছে আশিয়ান। ১ দশমিক ৮৮ একর সরকারি খাসজমিও এই প্রকল্পের আওতায় বেদখল হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৪৩ একর জমির ওপর আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। তবে ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমাদের এক হাজার একর জমি কেনা আছে। সরকারি নিয়ম মেনেই ভূমি উন্নয়ন করা হচ্ছিল।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণখানের হলাননামাপাড়া এলাকায় আমেনা বেগমের ৫ দশমিক ৫ কাঠা, শহর বানুর তিন বিঘা, মাজেদা বেগমের আট কাঠা, মোমেনা বেগমের ১০ কাঠা জমি জবরদখল করার ঘটনা উদ্ঘাটন করা হয়। এ ছাড়া রমজান ব্যাপারীর কবর বুলডোজার দিয়ে আংশিক ধ্বংস করার ঘটনাও উদ্ঘাটন করা হয়।
তা ছাড়া মাহবুবা সুলতানার দুই কাঠা জমির সীমানাপ্রাচীর ধ্বংস করা হয়েছে। মুজিবর রহমান সিদ্দিকীর সীমানাপ্রাচীর ধ্বংস করে ভরাট করা হয়েছে। বশির আহম্মেদের চার শতাংশ জমি দখল করে সীমানাপ্রাচীর ধ্বংস করা হয়েছে। এক বৃদ্ধ অভিযানকারীদের জানান, তাঁদের ২০০ বছরের পারিবারিক করবস্থান আশিয়ান সিটি আংশিক ধ্বংস করেছে। অভিযানকারীরা জানান, এ আবাসন প্রকল্পের আওতাধীন বিস্তীর্ণ এলাকায় ৮-১০ ফুট জলাভূমি, নিচু এলাকা ও পুকুর ভরাট করা হয়েছে, যা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
মুনির চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ের মাধ্যমে জানা যায়, ২৩০ একরের ওই প্রকল্পের মধ্যে আশিয়ান কর্তৃপক্ষ ৫৫ একর জমি কিনে নাম জারি করে। ৪০ থেকে ৫০ একর জলাভূমি হিসেবে চিহ্নিত জমি বালু দিয়ে ভরাট করেছে আশিয়ান। ১ দশমিক ৮৮ একর সরকারি খাসজমিও এই প্রকল্পের আওতায় বেদখল হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৪৩ একর জমির ওপর আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। তবে ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমাদের এক হাজার একর জমি কেনা আছে। সরকারি নিয়ম মেনেই ভূমি উন্নয়ন করা হচ্ছিল।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণখানের হলাননামাপাড়া এলাকায় আমেনা বেগমের ৫ দশমিক ৫ কাঠা, শহর বানুর তিন বিঘা, মাজেদা বেগমের আট কাঠা, মোমেনা বেগমের ১০ কাঠা জমি জবরদখল করার ঘটনা উদ্ঘাটন করা হয়। এ ছাড়া রমজান ব্যাপারীর কবর বুলডোজার দিয়ে আংশিক ধ্বংস করার ঘটনাও উদ্ঘাটন করা হয়।
তা ছাড়া মাহবুবা সুলতানার দুই কাঠা জমির সীমানাপ্রাচীর ধ্বংস করা হয়েছে। মুজিবর রহমান সিদ্দিকীর সীমানাপ্রাচীর ধ্বংস করে ভরাট করা হয়েছে। বশির আহম্মেদের চার শতাংশ জমি দখল করে সীমানাপ্রাচীর ধ্বংস করা হয়েছে। এক বৃদ্ধ অভিযানকারীদের জানান, তাঁদের ২০০ বছরের পারিবারিক করবস্থান আশিয়ান সিটি আংশিক ধ্বংস করেছে। অভিযানকারীরা জানান, এ আবাসন প্রকল্পের আওতাধীন বিস্তীর্ণ এলাকায় ৮-১০ ফুট জলাভূমি, নিচু এলাকা ও পুকুর ভরাট করা হয়েছে, যা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
No comments