সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বুলবুলিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ কর্মকর্তা
কিল ঘুষি লাথি মেরে তালাক তালাক বলে স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এই শিরোনামে জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সাখাওয়াত হোসেন নয়ন স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম বুলবুলিকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সাখাওয়াত হোসেন ছাত্র জীবনে যে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে সে বাহিনীর অন্যতম সদস্য সন্ত্রাসী বিল্লাল, লেবু, মানিক বুলবুলি ও তাঁর পরিবারকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে বুলবুলি জানান। গফরগাঁও উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আওয়ালের মেয়ে বুলবলি ও তাঁর পরিবার প্রতিদিন একটি ভয়ঙ্কর দিন পার করছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সাখাওয়াত ও বুলবুলির প্রেমকে কেন্দ্র করে তৎকালীন ছাত্র দলের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নয়ন মোবাশ্বেরা বেগম বুলবুলি বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও বহু মূল্যের ১০০টি গাছ কেটে নিয়ে আসে। জেল খাটা আসামি সাখাওয়াত হোসেন নয়ন বুলবুলিকে স্বামীর ঘর থেকে এনে ধর্ষণ করলে লোক জানাজানি হলে সে ঘর ভেঙ্গে যায়। ধর্ষণের পর নিজ ঘরে রেখে প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের চাপে নয়ন বুলবুলিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বিয়ের কয়েক মাস সংসার করার পরে গত শনিবার লাঞ্ছিত ও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গোপনে করে রাখা আপত্তিকর ভিডিও ছবি প্রকাশ করে। ফলে বুলবুলির সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। ২০১১ সালের ২৪ নবেম্বর বুলবুলিকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে বের করে দিলে সে ঘটনা নয়নকে জানায়। শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি গ্রামে আজাদ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করে নয়ন। এর পর থেকেই শুরু করে টালবাহানা। শারীরিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর গত ২৭ ডিসেম্বর এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় এবং মোবাশ্বেরা বেগম বুলবুলি বলেন, আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে নয়ন। আত্মহত্যা ছাড়া তো আর কোন পথ নেই আমার। সে পুলিশ কর্মকর্তা বলে কি আমি বিচার পাব না? আমি আইজিপি কমপ্লেইন্টস মনিটরিং সেল, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরির্দশক (প্রশাসন) ও সাখাওয়াত হোসেন নয়নের বর্তমান কর্মস্থল গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর বিচার চেয়ে অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি। মোবাশ্বেরা বেগমের মা সামছুন নাহার বলেন। নয়নের পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না। মামলা করলে সপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
No comments