স্বদেশ-নতুন বছর হবে সতর্কতার by আকবর আলি খান
বছরের বিশেষ দিন এলেই বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের ভবিষ্যদ্বাণী করতে বলা হয়। আমাদের পক্ষে তো আর সব বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। এই যে নতুন বছর এসেছে, এটি ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়েই এসেছে। এ দেশের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোর রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে, তা আমরা কেউই আশা করি না। বাংলাদেশে অর্থনীতির ক্ষেত্রে মূল সমস্যা মূল্যস্ফীতির। মূল্যস্ফীতির সমস্যা উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে এই কারণে যে মূল্যস্ফীতি যদি বছরের পর
বছর এত দ্রুত হারে বাড়তে থাকে, তাহলে সমাজের সর্বস্তরে একটা আশঙ্কার সৃষ্টি হবে যে ভবিষ্যতে আরও মূল্যস্ফীতি হবে। এ ব্যাপারে যখন আশঙ্কার সৃষ্টি হয়, তখন কোনো কারণ ছাড়াই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। জিনিসপত্রের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া শক্ত হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেখা যাবে, ভোক্তারা চরম কষ্টে আছেন এবং বিশেষ করে যাঁরা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, তাঁরা বড় সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
এখন এই মূল্যস্ফীতিকে আরও প্রকট করে তুলেছে বাংলাদেশি টাকার অবমূল্যায়ন। এই অবমূল্যায়ন কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত চলছে। এই অবমূল্যায়ন যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। সুতরাং, সরকারকে এই মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে রাজস্ব নীতিতে, ব্যবস্থা নিতে হবে মুদ্রানীতিতে, ব্যবস্থা নিতে হবে বৈদেশিক বিনিময় হারের ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা যেন যথেষ্ট পরিমাণে আসে, সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে। মোট কথা, অর্থনীতি চাঙা রাখতে সরকারকে সব ধরনের ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে।
আমি মনে করি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০১২ সালে সরকারকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে। নতুন বছরে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার অসতর্ক হলেই ঝুঁকি বাড়বে এবং সমস্যার সৃষ্টি হবে।
সতর্কতার প্রয়োজন আমাদের রাজনীতিতেও। কারণ, যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে। সাংঘর্ষিক রাজনীতির প্রবণতা চলতে থাকলে তা সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এ অবস্থায় রাজনীতির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রশাসনের ক্ষেত্রে ক্রমাবনতি দেখতে পাচ্ছি। প্রশাসনকে গতিশীল করতে সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমি আশা করছি, নতুন বছরে অর্থ, রাজনীতি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দেখতে পাব।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
এখন এই মূল্যস্ফীতিকে আরও প্রকট করে তুলেছে বাংলাদেশি টাকার অবমূল্যায়ন। এই অবমূল্যায়ন কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত চলছে। এই অবমূল্যায়ন যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। সুতরাং, সরকারকে এই মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে রাজস্ব নীতিতে, ব্যবস্থা নিতে হবে মুদ্রানীতিতে, ব্যবস্থা নিতে হবে বৈদেশিক বিনিময় হারের ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা যেন যথেষ্ট পরিমাণে আসে, সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে। মোট কথা, অর্থনীতি চাঙা রাখতে সরকারকে সব ধরনের ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে।
আমি মনে করি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০১২ সালে সরকারকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে। নতুন বছরে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার অসতর্ক হলেই ঝুঁকি বাড়বে এবং সমস্যার সৃষ্টি হবে।
সতর্কতার প্রয়োজন আমাদের রাজনীতিতেও। কারণ, যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে। সাংঘর্ষিক রাজনীতির প্রবণতা চলতে থাকলে তা সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এ অবস্থায় রাজনীতির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রশাসনের ক্ষেত্রে ক্রমাবনতি দেখতে পাচ্ছি। প্রশাসনকে গতিশীল করতে সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমি আশা করছি, নতুন বছরে অর্থ, রাজনীতি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দেখতে পাব।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
No comments