বিনিয়োগ করুন উৎপাদন বাড়ান-আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে নতুন করে আরও বিনিয়োগ করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বিনিয়োগ করুন, উৎপাদন বাড়ান, পণ্যের দেশীয় বাজার সৃষ্টি করুন। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখব। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগের মতোই আপনাদের পাশে থাকব। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ)
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুততর সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস উৎপাদন, রফতানি আয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, প্রবাসী আয়সহ তার সরকারের বিগত তিন বছরের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বমন্দার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্দার কারণে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন
যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের
অর্থনীতি গতিশীল আছে।
মেলামাঠের পাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ, বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন এবং মেলার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও গত অর্থবছর দেশের রফতানি আয় ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৮ শতাংশ। রফতানিতে সাফল্যের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়া জরুরি ছিল। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন এবং বাধার কারণে অনেকে ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অনেকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে; কিন্তু তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। গত তিন বছরে ইপিজেডগুলোতে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার কারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেন্টালের ব্যবস্থা করা হয়েছে; কিন্তু অনেকে এ ব্যবস্থার এখন সমালোচনা করছেন। আমরা বিদ্যুৎ সংকট সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। এরই মধ্যে ২ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করেছি। জ্বালানি হিসেবে তেলের ওপর ভর্তুকি কমাতে কয়লাভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। উৎপাদনে বৈচিত্র্য আসতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একই ধরনের পণ্য উৎপাদনে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবেন না। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করুন। চাহিদার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এসব পণ্যের বাজার সৃষ্টি করুন।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় আমরা ৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকার প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করেছি। তা ছাড়া দ্বিতীয় প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে দেশে গত তিন বছরে ২৬৬ কোটি মার্কিন ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তিনি বলেন, তার সরকার নতুন নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টির প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিতা কেটে মাসব্যাপী ১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নসহ মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, রফতানি খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার সফল। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দেন তিনি। তিনি বলেন, ৩৮ কোটি ডলারের রফতানি আয় দিয়ে শুরু করে বর্তমান রফতানি আয় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এ সাফল্য ধরে রাখতে সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, গত তিন বছরে সরকারের সাফল্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। খাদ্য নিরাপত্তা, রফতানি আয়, রাজস্ব আদায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ_ এসব ক্ষেত্রে সরকার সফল। তবে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা এবং রফতানি কমে যাওয়া কিছু কিছু পণ্যের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। এ বছরের রফতানি লক্ষ্য অর্জন সম্ভব জানিয়ে তিনি বন্দর, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্পর্কে এ. কে. আজাদ বলেন, গত বছর প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও এ হার ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৭ শতাংশের মাঝামাঝি থাকবে।
এবারের মেলায় ১২টি দেশের ৪৭টি স্টলসহ মোট ৫০৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের
অর্থনীতি গতিশীল আছে।
মেলামাঠের পাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ, বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন এবং মেলার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও গত অর্থবছর দেশের রফতানি আয় ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৮ শতাংশ। রফতানিতে সাফল্যের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়া জরুরি ছিল। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন এবং বাধার কারণে অনেকে ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অনেকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে; কিন্তু তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। গত তিন বছরে ইপিজেডগুলোতে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার কারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেন্টালের ব্যবস্থা করা হয়েছে; কিন্তু অনেকে এ ব্যবস্থার এখন সমালোচনা করছেন। আমরা বিদ্যুৎ সংকট সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। এরই মধ্যে ২ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করেছি। জ্বালানি হিসেবে তেলের ওপর ভর্তুকি কমাতে কয়লাভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। উৎপাদনে বৈচিত্র্য আসতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একই ধরনের পণ্য উৎপাদনে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবেন না। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করুন। চাহিদার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এসব পণ্যের বাজার সৃষ্টি করুন।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় আমরা ৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকার প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করেছি। তা ছাড়া দ্বিতীয় প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে দেশে গত তিন বছরে ২৬৬ কোটি মার্কিন ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তিনি বলেন, তার সরকার নতুন নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টির প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিতা কেটে মাসব্যাপী ১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নসহ মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, রফতানি খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার সফল। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দেন তিনি। তিনি বলেন, ৩৮ কোটি ডলারের রফতানি আয় দিয়ে শুরু করে বর্তমান রফতানি আয় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এ সাফল্য ধরে রাখতে সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, গত তিন বছরে সরকারের সাফল্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। খাদ্য নিরাপত্তা, রফতানি আয়, রাজস্ব আদায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ_ এসব ক্ষেত্রে সরকার সফল। তবে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা এবং রফতানি কমে যাওয়া কিছু কিছু পণ্যের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। এ বছরের রফতানি লক্ষ্য অর্জন সম্ভব জানিয়ে তিনি বন্দর, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্পর্কে এ. কে. আজাদ বলেন, গত বছর প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও এ হার ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৭ শতাংশের মাঝামাঝি থাকবে।
এবারের মেলায় ১২টি দেশের ৪৭টি স্টলসহ মোট ৫০৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
No comments