গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪২,০০০ ছাড়িয়েছে: লেবানন থেকে রকেট হামলায় ২ ইসরাইলি নিহত

চারদিক থেকে যতই সংযত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে ততই বাড়ছে অনিশ্চয়তা। গাজা ও লেবাননে ইসরাইল যে ধ্বংসলীলা শুরু করেছে, তাতে সবাইকে আতঙ্ক পেয়ে বসেছে। কি ঘটছে, কি হতে যাচ্ছে- তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ। ইরানের ড্রোন হামলার জবাবে কি করণীয় তা নির্ধারণে বুধবার রাতে আলোচনায় বসার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে। এরই মধ্যে গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। লেবাননের অবস্থাও তাই। লেবাননকে গাজার মতো পরিস্থিতি করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন নেতানিয়াহু। এর জবাবে লেবানন থেকে ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা’তে রকেট হামলা হয়েছে। তাতে ইসরাইলের একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত এক বছরে গাজা যুদ্ধে ইসরাইল হত্যা করেছে কমপক্ষে ৪২,০০০ ফিলিস্তিনিকে। তারপরও তাদের হামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় ইসরাইলকে ইহুদিবাদী একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আঞ্চলিক সফরে বেরিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস।

তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে পৌঁছে বলেছেন, আমরা আশা করি এসব আলোচনা ফিলিস্তিন, লেবানন এবং আঞ্চলিক শান্তি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। সৌদি আরবের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এবং সঠিক পথে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আব্বাস। ওদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয়ার বিষয় নেতানিয়াহু ও বাইডেনের টেলিসংলাপে স্থান পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের অফিস বলেছে, বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার কারণে তার পূর্বপরিকল্পিত ওয়াশিংটন সফর স্থগিত করেছেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠীকে একটি সুসংগঠিত সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, ইসরাইলের হামলা সত্ত্বেও হিজবুল্লাহর চেইন অব কমান্ড ভাঙ্গেনি। সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ জিইয়ে রাখার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনসহ পশ্চিমাদের দায়ী করেন। বলেন, তারা কাপুরুষের মতো ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.