এয়ারটেল ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশে
ভারতের এয়ারটেল কোম্পানি বাংলাদেশের টেলিকম খাতের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধানত্ম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধাররা জানিয়েছেন ওয়ারিদের মূল প্রতিষ্ঠান ধাবী গ্রম্নপের সঙ্গে এয়ারটেলের যৌথ বিনিয়োগের পুরোটাই বাংলাদেশে খরচ করা হবে।এয়ারটেলের দৰিণ এশীয় চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মনোজ খলি রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এয়ারটেল আগামী দুই মাসের মধ্যে ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সঞ্জয় কাপুর, পরিচালক নরেন্দর গুপ্ত, বাংলাদেশের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্রিস তবিত এবং ওয়ারিদের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মুনির ফারম্নকি প্রমুখ।
এদিকে বিটিআরসি এয়ারটেলের এই বিনিয়োগের প্রসত্মাবের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এয়ারটেলকে অনুমোদন দেবার আগে বিনিয়োগের টাকা কিভাবে খরচ করা হবে সে বিষয়ে জানতে বিটিআরসি তাদের কাছে এক মাসের মধ্যে একটি গাইডলাইন চেয়েছিল। এয়ারটেল বিষয়টি মেনে নিয়েই এই চূড়ানত্ম সিদ্ধানত্ম নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
এয়ারটেল বিটিআরসিকে জানিয়েছে, তারা প্রাথমিক বিনিয়োগের পুরো টাকাই বাংলাদেশে এনে খরচ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধানত্ম নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সঞ্জয় কাপুর বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে এয়ারটেল লিমিটেড এই খাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতে এয়ারটেল তিন মিলিয়ন গ্রাহক তৈরি করতে সৰম হয়েছে। এয়ারটেল গত বছর শ্রীলঙ্কায়ও টেলিকম খাতের সম্প্রসারণে এগিয়ে গেছে।
এয়ারটেলের এই বিনিয়োগ বাসত্মবায়িত হলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। মোবাইল নেটওয়ার্ক আরও বিসত্মৃত হবে। প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা হওয়ায় কলরেটও কমে আসবে।
মুনির ফারম্নকি জানান, ওয়ারিদ বাংলাদেশের টেলিকম খাতে মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। ইতোমধ্যেই তারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ অপারেটর হয়েও স্বল্প সময়ে প্রায় তিন মিলিয়ন গ্রাহক তৈরি করতে সৰম হয়েছে।
No comments