মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষকদের- ওপর 'তরল গ্যাস'
এমপিওভুক্তির দাবিতে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর 'তরল গ্যাস' ছুড়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ডাকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা ভবন ঘেরাওয়ের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে রওনা দেন।
কদম ফোয়ারার কাছে পৌঁছার পর পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে এগোতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর এক ধরনের তরল গ্যাস ছোড়ে। এই গ্যাসের তীব্র ঝাঁজ সহ্য করতে না পেরে শিক্ষক-কর্মচারীরা পল্টন মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন। বিকেলে সংগঠনের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবেন। একই সঙ্গে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়ে ঘরে ফেরাবেন; কিন্তু কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করল না।' গতকালের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর গ্যাস নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্যদের অপসারণ দাবি করেছেন তিনি।
শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা শিক্ষক। আবার শিক্ষা ভবনে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরাও শিক্ষক। কাজেই শিক্ষকদের প্রতি আমাদের আচরণ সহানুভূতিশীল। শিক্ষকদের ওপর গ্যাস ছুড়ে মারার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু শিক্ষা ভবনে আসার পথে কী হয়েছে আমি এখানে বসে বলতে পারব না।'
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, প্রায় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ১০-১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমপিওভুক্তির দাবিতে গতকাল তাঁদের শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। তাঁরা আরো জানান, সকাল ১০টা থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা জড়ো হতে থাকেন। সাড়ে ১১টায় শিক্ষা ভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করলে হাইকোর্টের মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ তরল গ্যাস ছুড়ে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষকরা আরো জানান, তরল গ্যাস ছোড়ার কারণে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিক্ষকরা ব্যারিকেড পার হতে না পেরে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার পর পল্টন মোড়ে গিয়ে শিক্ষা ভবনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেও পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকরা সেখানেই অবস্থান করে সমাবেশ করেন। শিক্ষকদের এই কর্মসূচির কারণে গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করা হয়নি। বরং শিক্ষকরাই পুলিশের ওপর ইট ও জুতা ছুড়েছেন। এর পরই শিক্ষকদের ওপর তরল গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এই গ্যাসের কারণে কিছুক্ষণ চোখ জ্বলবে। তবে কোনো ক্ষতি হবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে গতকালের সমাবেশে বক্তব্য দেন ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু, সহসভাপতি মিলন কুমার ঘোষাল, আবুল কালাম আজাদ, মশিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এই সমাবেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবেন। একই সঙ্গে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়ে ঘরে ফেরাবেন; কিন্তু কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করল না।' গতকালের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর গ্যাস নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্যদের অপসারণ দাবি করেছেন তিনি।
শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা শিক্ষক। আবার শিক্ষা ভবনে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরাও শিক্ষক। কাজেই শিক্ষকদের প্রতি আমাদের আচরণ সহানুভূতিশীল। শিক্ষকদের ওপর গ্যাস ছুড়ে মারার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু শিক্ষা ভবনে আসার পথে কী হয়েছে আমি এখানে বসে বলতে পারব না।'
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, প্রায় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ১০-১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমপিওভুক্তির দাবিতে গতকাল তাঁদের শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। তাঁরা আরো জানান, সকাল ১০টা থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা জড়ো হতে থাকেন। সাড়ে ১১টায় শিক্ষা ভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করলে হাইকোর্টের মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ তরল গ্যাস ছুড়ে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষকরা আরো জানান, তরল গ্যাস ছোড়ার কারণে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিক্ষকরা ব্যারিকেড পার হতে না পেরে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার পর পল্টন মোড়ে গিয়ে শিক্ষা ভবনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেও পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকরা সেখানেই অবস্থান করে সমাবেশ করেন। শিক্ষকদের এই কর্মসূচির কারণে গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করা হয়নি। বরং শিক্ষকরাই পুলিশের ওপর ইট ও জুতা ছুড়েছেন। এর পরই শিক্ষকদের ওপর তরল গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এই গ্যাসের কারণে কিছুক্ষণ চোখ জ্বলবে। তবে কোনো ক্ষতি হবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে গতকালের সমাবেশে বক্তব্য দেন ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু, সহসভাপতি মিলন কুমার ঘোষাল, আবুল কালাম আজাদ, মশিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এই সমাবেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
No comments