দেশ বিক্রির ধুয়া '৭১-এর পরাজিত প্রেতাত্মাদের মায়াকান্না মহিউদ্দিন
চট্টগ্রাম অফিস চট্টগ্রামের মেয়র আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটানের জন্য ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করায় গভীর সনত্মোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরকে ট্রানজিটের আওতায় আনার সিদ্ধানত্মকে স্বাগত জানিয়ে রবিবার তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এটা চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। দণি এশিয়ার প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের চাবিকাঠি। বিশ্বের প্রাচীনতম প্রাকৃতিক সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। বর্তমানে এই বন্দরের সমতার মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসমূহকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সমতার শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নই শুধু নয়, সিঙ্গাপুরের বহুমাত্রিক উন্নয়নের আরেকটি মডেল হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। এর ফলে চট্টগ্রামই হবে সারাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কর্মকা-ের মূল কেন্দ্র। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই আনত্মর্দেশীয় অর্থনৈতিক কর্মকা-ের প্রবাহ চীন পর্যনত্ম বিসত্মৃত হবে।তিনি ােভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম বিদ্বেষী একটি মহল যারা চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে বার বার বাধাগ্রসত্ম করেছে তারাই ঠুনকো ও কল্পিত অজুহাতে ট্রানজিটের বিরোধিতা করছে। তাদের জানা উচিত বিশ্বে আঞ্চলিক সহযোগিতার দুয়ার আজ উন্মুক্ত। সমগ্র ইউরোপ পারস্পরিক উন্নয়নের স্বার্থে এক হয়েছে। বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে দুই জার্মানি এক হয়েছে। অথচ পশ্চাদপদ কূপমন্ডূকতায় বিশ্ববাসী চট্টগ্রাম বিদ্বেষী মহল চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে তিরোহিত করতে ট্রানজিটের বিরোধিতা করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। এই চট্টগ্রাম থেকে শুরম্ন হয়েছিল প্রতিরোধ যুদ্ধ। যারা স্বাধীনতার জন্য রক্ত দেয় তাদের বিরম্নদ্ধে দেশ বিক্রির ধুয়া একাত্তরে পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মার মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বিবৃতিতে ঘোষণা করেন, ট্রানজিট চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এবং এর বিরোধিতাকারী চট্টগ্রাম বিদ্বেষীদের প্রতিহত করার শপথে আগামী ২৫ জানুয়ারি সোমবার বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
No comments