‘আরও বিকশিত হতে চাই’
আকাশই কি তা হলে লিওনেল মেসির সীমানা! প্রতি মৌসুমেই তাঁকে নিয়ে বিস্ময়ের অনুরণন। অথচ পরের মৌসুমেই অবলীলায় ছাড়িয়ে যান আগের কীর্তিকে। এভাবেই টানা চার বছর বিশ্বের সেরা ফুটবলারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
তার পরও মেসির কণ্ঠে আত্মতৃপ্তির ছিটেফোঁটাও নেই, ‘আরও ভালো করার সুযোগ সব সময়ই থাকে। কেউই কখনো পরিপূর্ণ নিখুঁত হতে পারে না। আমি আরও ভালো থেকে ভালোতর হয়ে ওঠার চেষ্টাই করব। খেলোয়াড় হিসেবে আরও বিকশিত হতে চাই।’
এই কথা অবশ্য মেসি জুরিখে এভাবে বলেননি। বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। তবে পরশু জুরিখে শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক ওই স্বর্ণালি গোলকটা হাতে নিয়ে বলা কথাটাও একই রকম—মেসি হয়ে উঠতে চান আরও ভালো ফুটবলার। সঙ্গে যোগ করেছেন, দলের চেয়ে মেসি কখনোই বড় নয়। দলের সাফল্যই আসলে শেষ কথা।
তবে এ এমন এক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার, যেটির জন্য তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকেন ফুটবলাররা। এই পুরস্কার অন্য রকম এক ভালোলাগাই এনে দেয় তাঁদের। পুরস্কার হাতে নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ায় তাই তৃপ্তির ছাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক, ‘আরও একবার এই পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অবিশ্বাস্য। টানা চারবার জেতা তো আরও দারুণ। এর প্রত্যেকটাই বিশেষ কিছু। এখানে কেউই এই ভাবনা নিয়ে আসে না, আমিই জিতব।’ এই পুরস্কারের গৌরব সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দলঅন্তপ্রাণ মেসি, ‘আমি এটা আমার বার্সা-সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। বিশেষ করে আন্দ্রেসের সঙ্গে, যে নিজেও এখানে আমার সঙ্গে আছে। ওর মতো একজনের পাশে প্রতিদিন
অনুশীলন করতে পেরেই আমি গর্বিত। আমার আর্জেন্টিনা সতীর্থদের কথাও মনে পড়ছে।’
ফিফার সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশের কোচ, অধিনায়ক ও একজন মনোনীত সাংবাদিকের ভোটে চূড়ান্ত হয় এই পুরস্কার। মেসি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁদেরও। আগের তিনবার জিতেছেন। কিন্তু বাবা হওয়ার পর এই প্রথম। ছেলে থিয়াহোর কথাও মনে পড়ে গেল তাঁর, ‘ধন্যবাদ জানাই আমার পরিবার, বন্ধু ও স্ত্রী, বিশেষ করে আমার ছেলেকে; যে কিনা আমার জীবনের সেরা উপহার।’
নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নেশায় মেতে ওঠা মেসি এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৭ ম্যাচে করেছেন ৩৬ গোল। ম্যাচের চেয়ে গোলের সংখ্যা বেশি! নিজের চেয়ে দলের কথাই বেশি বলেন সব সময়। গত পরশুও বললেন। যাতে মিশে থাকল তৃপ্তির ছোঁয়া। মেসির দল বার্সেলোনা ২০১২ সালে লিগে একটি ম্যাচেও হারেনি। বার্সার এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক, এটা তো চানই; সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলের সামনেও দেখছেন সুদিন। বার্সা বা জাতীয় দলের পক্ষে কোনো শিরোপা না জিতেও গত বছরের সেরা। দলীয় সাফল্যটাও এর সঙ্গে যোগ হলে প্রাপ্তিটা যে মধুরতর হয়, সেটি তো মেসি জেনেছেনই এর আগে। এএফপি, রয়টার্স।
এই কথা অবশ্য মেসি জুরিখে এভাবে বলেননি। বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। তবে পরশু জুরিখে শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক ওই স্বর্ণালি গোলকটা হাতে নিয়ে বলা কথাটাও একই রকম—মেসি হয়ে উঠতে চান আরও ভালো ফুটবলার। সঙ্গে যোগ করেছেন, দলের চেয়ে মেসি কখনোই বড় নয়। দলের সাফল্যই আসলে শেষ কথা।
তবে এ এমন এক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার, যেটির জন্য তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকেন ফুটবলাররা। এই পুরস্কার অন্য রকম এক ভালোলাগাই এনে দেয় তাঁদের। পুরস্কার হাতে নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ায় তাই তৃপ্তির ছাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক, ‘আরও একবার এই পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অবিশ্বাস্য। টানা চারবার জেতা তো আরও দারুণ। এর প্রত্যেকটাই বিশেষ কিছু। এখানে কেউই এই ভাবনা নিয়ে আসে না, আমিই জিতব।’ এই পুরস্কারের গৌরব সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দলঅন্তপ্রাণ মেসি, ‘আমি এটা আমার বার্সা-সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। বিশেষ করে আন্দ্রেসের সঙ্গে, যে নিজেও এখানে আমার সঙ্গে আছে। ওর মতো একজনের পাশে প্রতিদিন
অনুশীলন করতে পেরেই আমি গর্বিত। আমার আর্জেন্টিনা সতীর্থদের কথাও মনে পড়ছে।’
ফিফার সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশের কোচ, অধিনায়ক ও একজন মনোনীত সাংবাদিকের ভোটে চূড়ান্ত হয় এই পুরস্কার। মেসি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁদেরও। আগের তিনবার জিতেছেন। কিন্তু বাবা হওয়ার পর এই প্রথম। ছেলে থিয়াহোর কথাও মনে পড়ে গেল তাঁর, ‘ধন্যবাদ জানাই আমার পরিবার, বন্ধু ও স্ত্রী, বিশেষ করে আমার ছেলেকে; যে কিনা আমার জীবনের সেরা উপহার।’
নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নেশায় মেতে ওঠা মেসি এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৭ ম্যাচে করেছেন ৩৬ গোল। ম্যাচের চেয়ে গোলের সংখ্যা বেশি! নিজের চেয়ে দলের কথাই বেশি বলেন সব সময়। গত পরশুও বললেন। যাতে মিশে থাকল তৃপ্তির ছোঁয়া। মেসির দল বার্সেলোনা ২০১২ সালে লিগে একটি ম্যাচেও হারেনি। বার্সার এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক, এটা তো চানই; সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলের সামনেও দেখছেন সুদিন। বার্সা বা জাতীয় দলের পক্ষে কোনো শিরোপা না জিতেও গত বছরের সেরা। দলীয় সাফল্যটাও এর সঙ্গে যোগ হলে প্রাপ্তিটা যে মধুরতর হয়, সেটি তো মেসি জেনেছেনই এর আগে। এএফপি, রয়টার্স।
No comments