ভাড়া দিয়েছে সওজ- আদালতে যাবে জেলা পরিষদ
যশোর অফিস যশোরের চুড়ামনকাটি-চৌগাছা সড়কের পাশে ওরাসকম টেলিকম বাংলাদেশ লি. (বাংলালিংক) কতর্ৃপকে ভূ-গর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের অনুমতি দেয়া নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের মধ্যে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা পরিষদ কতর্ৃপরে দাবি, তাদের মালিকাধীন জমিতে সড়ক ও জনপথ কতর্ৃপ সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে ভূ-গর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের জন্য বাংলালিংক কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জেলা পরিষদ কতর্ৃপ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে।যশোর জেলা পরিষদের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চুড়ামনকাটি-চৌগাছা সড়কের মালিকানা জেলা পরিষদের। এই সড়কের উন্নয়নের ভার ন্যসত্ম করা হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওপর। সড়ক ও জনপথ বিভাগ শুধুমাত্র রাসত্মা সংস্কার করবে কিন্তু রাসত্মার পাশে গাছ ও জমির মালিকানা থাকবে জেলা পরিষদের। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিভিন্ন সময়ে অন্যায়ভাবে রাসত্মার পাশের জমি ব্যবহার এবং গাছের মালিকানা দাবি করতে থাকায় দু'বিভাগের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদের প থেকে এই জটিলতা নিরসনের জন্য স্থানীয় সরকার পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের হসত্মপে কামনা করা হয়। এর আলোকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা খাতুন গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা পরিষদ সচিব বরাবর প্রেরিত চিঠিতে বলেন, গত বছরের ১৭ আগস্ট জেলা পরিষদসমূহের ২০০৯-১০অর্থ বছরের বাজেট অনুমোদন ও বার্ষিক পর্যালোচনা সভার সিদ্ধানত্ম মোতাবেক জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে কোন রাসত্মা এলজিইডি কিংবা অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগ কতর্ৃক উন্নয়ন করা হলেও রাসত্মার পাশের জমির মালিকানা থাকবে জেলা পরিষদের। স্মারক নং স্থাসবি/জেপশা/বাজেয়-৩/২০০৯/২৩১৫।
মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধানত্ম অমান্য করে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইমদাদ হোসেন গত বছরের ২৩ নবেম্বর চুড়ামনকাটি-চৌগাছা সড়কের পাশের জমিতে প্রথম ও দ্বিতীয় কিঃ মিঃ এ বাংলালিংক কোম্পানিকে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ ১৭ টাকা ৫৬ পয়সার বিনিময়ে ভূগর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেছেন। জেলা পরিষদের প থেকে এ ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আপত্তি আমলে নেননি। এ পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের প থেকে আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।
No comments