লেনদেন আরও বেড়েছে
দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি বাড়ছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন গতকাল বুধবার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ডিএসইতে প্রায় ৭১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন গতকাল ৭০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, মঙ্গলবার যার পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে দুই বাজারে গতকাল সমন্বিত লেনদেন ছাড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৯০০ কোটি টাকা।
একই সঙ্গে গতকাল দেশের দুই বাজারের সব কটি মূল্যসূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল দিন শেষে ঢাকার শেয়ারবাজারের সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে।
দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মূল্য বৃদ্ধি ও কমার ব্যবধানটা খুব বেশি ছিল না। তবে সূচকের ঊর্ধ্বগতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক খাতসহ ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলো। মূল্যবৃদ্ধিতে একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাত ছিল শীর্ষে। এদিন লেনদেন হওয়া ৩০টি ব্যাংকের সব কটির দামই বেড়েছে।
এ ছাড়া দাম বেড়েছে টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি তিতাস, ডেসকোসহ ভালো মৌল ভিত্তির কোম্পানিগুলোর। অবশ্য অন্য খাতের শেয়ারের দামের কিছুটা সংশোধন হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এরই মধ্যে সংবাদপত্রে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আর কিছুদিন পর থেকেই ব্যাংকগুলো সমাপ্ত বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এ খাতের দিকে ঝুঁকছেন।
ডিএসইতে গতকাল দিন শেষে ২৬৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১১৬টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দাম। বুধবার ডিএসইতে প্রায় ৮০৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৯৮ কোটি টাকা বেশি। পাশাপাশি গত দেড় মাসের মধ্যে গতকালই ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর ডিএসইতে সর্বশেষ এক হাজার ৫১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
চট্টগ্রামের বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল প্রায় ২৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫১৬ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৯৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ৮০টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২টির দাম। দিন শেষে গতকাল সিএসইতে প্রায় ৭৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা বেশি।
No comments