লক্ষ্য উত্তরের আক্রমণ প্রতিরোধ-দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে যাচ্ছে
উত্তর কোরিয়ার যেকোনো সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই নতুন একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ে আকস্মিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের মধ্যে সিউল গতকাল বুধবার এ কথা জানায়। দক্ষিণ কোরিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী লিম কন-বিন বলেন, ‘কিম জং-উনের ক্ষমতাগ্রহণকালে উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে উসকানিমূলক হামলা হতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস।
নতুন চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বৃদ্ধি পাবে। উত্তর কোরিয়া থেকে উসকানিমূলক কোনো আক্রমণ হলে সমুচিত জবাব দেবে দক্ষিণ কোরীয় সেনাবাহিনী।’ দক্ষিণ কোরিয়ার অসম্মানের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়ে উত্তর কোরিয়ার নতুন সরকার বলেছে, সিউলের বর্তমান রক্ষণশীল সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা হবে না।
তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার অপরীক্ষিত তরুণ নেতা কিম জং-উন এ মুহূর্তে বড় ধরনের সীমান্ত-লড়াই যথাসম্ভব এড়িয়ে চলবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছরের নীতিনির্ধারণী দলিল প্রসঙ্গে জানায়, গত অক্টোবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তি অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ যৌথভাবে মোকাবিলা করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর যৌথ সামরিক মহড়া চালায়।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার বলেছে, দক্ষিণের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উত্তর কোরিয়া প্রত্যাখ্যান করায় পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ছয়-জাতি উদ্যোগকে ব্যাহত করবে। চীনের সভাপতিত্বে দুই কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রাশিয়া বেশ কিছুদিন ধরে ওই উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০-৫৩ সালের যুদ্ধে শুধু অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের অবসান হয়নি। সে হিসেবে তারা কাগজে-কলমে এখনো যুদ্ধে লিপ্ত। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনো ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সদ্য প্রয়াত নেতা কিম জং-ইলের ‘মহান উত্তরাধিকারী’ হিসেবে তাঁর ছেলে কিম জং-উনকে স্বাগত জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইতিমধ্যে তাঁকে সামরিক বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার লক্ষাধিক লোক নতুন নেতার সমর্থনে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এএফপি।
তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার অপরীক্ষিত তরুণ নেতা কিম জং-উন এ মুহূর্তে বড় ধরনের সীমান্ত-লড়াই যথাসম্ভব এড়িয়ে চলবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছরের নীতিনির্ধারণী দলিল প্রসঙ্গে জানায়, গত অক্টোবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তি অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ যৌথভাবে মোকাবিলা করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর যৌথ সামরিক মহড়া চালায়।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার বলেছে, দক্ষিণের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উত্তর কোরিয়া প্রত্যাখ্যান করায় পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ছয়-জাতি উদ্যোগকে ব্যাহত করবে। চীনের সভাপতিত্বে দুই কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রাশিয়া বেশ কিছুদিন ধরে ওই উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০-৫৩ সালের যুদ্ধে শুধু অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের অবসান হয়নি। সে হিসেবে তারা কাগজে-কলমে এখনো যুদ্ধে লিপ্ত। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনো ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সদ্য প্রয়াত নেতা কিম জং-ইলের ‘মহান উত্তরাধিকারী’ হিসেবে তাঁর ছেলে কিম জং-উনকে স্বাগত জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইতিমধ্যে তাঁকে সামরিক বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার লক্ষাধিক লোক নতুন নেতার সমর্থনে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এএফপি।
No comments