পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবি যৌক্তিক: ইমরান খান
পাকিস্তান সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে। এ মুহূর্তে আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি করা মোটেও অযৌক্তিক হবে না। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান এসব কথা বলেন। ইমরান খান বলেন, তাঁর দল জন-অসন্তোষ সৃষ্টির প্রচারণা চালাবে, না অন্য কোনো উপায়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করবে—তা এখনো ঠিক হয়নি। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আন্দোলনের কৌশল
ঠিক করা হবে। আগামী শনিবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে বলে দাবি করেন ইমরান খান। তাঁর বক্তব্যে দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও নাজুক বলে উল্লেখ করা হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে দাবি করেন তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে এমন সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুগত ছিল। পাকিস্তানের জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার কাজেই বেশি ব্যস্ত থেকেছে।
ইমরান বলেন, সরকারের জ্বালানি নীতির কারণে পাঞ্জাবের ব্যবসায়িক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে ৪০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিয়ে দেশজুড়ে সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মাত্র এক লাখ ৮৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিল দেয়। অথচ ২৮ হাজার শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রভাবশালীরা প্রায় চার লাখ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিনা মূল্যে ব্যবহার করছেন, যার বিল দিতে হচ্ছে দরিদ্র মানুষকে।
সারের দুর্নীতির বিষয়ে ইমরান বলেন, এর প্রভাবে সারা দেশে কৃষকেরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। গণমাধ্যমকেও শিগগির সার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ), পাকিস্তান রেলওয়ের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করেন।
একই সঙ্গে তিনি হাজারা, দক্ষিণ পাঞ্জাব, বাহাওয়ালপুরকে নতুন প্রদেশ ঘোষণার দাবির প্রতি সমর্থন জানান। ভোটের রাজনীতির সুবিধার জন্য নয়, বরং প্রশাসনিক কারণেই নতুন প্রদেশ সৃষ্টির বিষয়টি সমর্থন করছেন বলে ইমরান খান দাবি করেন।
২০০৮ সালের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে দাবি করেন তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে এমন সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুগত ছিল। পাকিস্তানের জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার কাজেই বেশি ব্যস্ত থেকেছে।
ইমরান বলেন, সরকারের জ্বালানি নীতির কারণে পাঞ্জাবের ব্যবসায়িক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে ৪০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিয়ে দেশজুড়ে সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মাত্র এক লাখ ৮৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিল দেয়। অথচ ২৮ হাজার শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রভাবশালীরা প্রায় চার লাখ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিনা মূল্যে ব্যবহার করছেন, যার বিল দিতে হচ্ছে দরিদ্র মানুষকে।
সারের দুর্নীতির বিষয়ে ইমরান বলেন, এর প্রভাবে সারা দেশে কৃষকেরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। গণমাধ্যমকেও শিগগির সার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ), পাকিস্তান রেলওয়ের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করেন।
একই সঙ্গে তিনি হাজারা, দক্ষিণ পাঞ্জাব, বাহাওয়ালপুরকে নতুন প্রদেশ ঘোষণার দাবির প্রতি সমর্থন জানান। ভোটের রাজনীতির সুবিধার জন্য নয়, বরং প্রশাসনিক কারণেই নতুন প্রদেশ সৃষ্টির বিষয়টি সমর্থন করছেন বলে ইমরান খান দাবি করেন।
No comments