ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র ভয়াবহ আকার নিচ্ছে
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র ও অসমতা
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভয়াবহ এ দারিদ্র দেশটির গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে
ফেলছে। জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। চরম দারিদ্র ও
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার
ফিলিপ অলস্টন বলেছেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৮ জন নাগরিকের একজনই
দারিদ্রযসীমার নিচে বাস করছে। এছাড়া প্রতি ৮ জনের ৪ জনই এমন অবস্থায়
জীবনযাপন করছে, যাকে 'চরম দারিদ্র' হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তিনি আরও বলেন,
দারিদ্রপীড়িত এসব মানুষের বেশিরভাগেরই এ দুর্দশা থেকে বাঁচার কোনো
রাস্তা নেই। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট ও রয়টার্সের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির
দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ এ দারিদ্রের কারণে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা দেশটি
রাজনীতি, নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়ী করে এর সমালোচনা করেছেন। সমপ্রতি তিনি
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘরহীন মানুষদের আশ্রয় শিবির থেকে
দক্ষিণাঞ্চলের ছোট ছোট শহরগুলো এবং সমপ্রতি ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত ও
বিধ্বস্ত পুয়ের্তোরিকো পর্যন্ত সফর করেন। বৈশ্বিক অসমতার মূল্যায়নে
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ এলাকাগুলোর দারিদ্র ও মানবাধিকার বিষয়ে এক
প্রতিবেদন প্রস্তুত করছেন তিনি। খুব শিগগিরই পূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত
হবে। ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের চুম্বকাংশ তুলে ধরে তিনি
বলেন, 'ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র অসমতায় চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে। বহু
বছর ধরে গৃহীত অর্থনৈতিক নীতির কারণে দেশটি এ ভয়াবহ দারিদ্র ও অসমতার মুখে
পড়েছে। তবে কর সংস্কার ও কল্যাণমূলক ভাতা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে খরচ
কমাতে ট্রাম্প ও তার দল রিপাবলিকান সমর্থিত প্রস্তাব কার্যকর হলে এ
পরিস্থিতি আরও নাজুক আকার ধারণ করবে।' অলস্টন বলেন, 'আমেরিকান স্বপ্ন খুব
দ্রুতই মরীচিকায় পরিণত হতে যাচ্ছে। কেননা এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্যান্য ধনী
রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক সচলতার হার সবচেয়ে কম।
যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্রের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা একটা শিশুর পক্ষে বর্তমানে
দারিদ্রের চক্র থেকে বের হয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।' তিনি জানান, দেশটিতে
দরিদ্র শিশুরা তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে না বললেই চলে।
একইভাবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও মানসম্মত শিক্ষায় তাদের কোনো
প্রবেশাধিকার নেই। এ মুহূর্তে এদের যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার সেটা হচ্ছে
দারিদ্রের শিকল ভেঙে বের হয়ে আসা।
No comments