কুতুবদিয়ায় দু’টি সড়কের বেহাল দশা ধুরুং জেটিতে ৫ বছর ধরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ by এম.এ মান্নান
কুতুবদিয়া ধুরুং জেটি ঘাটে পণ্য ওঠা-নামা হয়না ৫ বছর ধরে। জেটিতে যাত্রী ওঠা-নামা করলেও চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজার থেকে বোট যোগে ব্যবসায়িরা মালামাল এনেও খালাস করেন না এই ঘাটে।ফলে জেটি মূলত: অকেজো হয়ে পড়ছে দিন দিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধুরুং জেটিঘাটে শুধু যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মালবাহি ট্রলি কিংবা যানবাহন যেতে পারেনা এইঘাটে। ধুরুংবাজার টু সতরুদ্দীন রোডে য্নাবাহন চলেনা কয়েক বছর যাবত। ৫ কিলোমিটার দূরত্বের এই সড়কটি সংস্কারের অভাবে রিকসা পর্যন্ত চলেনা এখন। একই ভাবে ধুরুংবাজার টু মিরাখালী সড়কে পেয়ারাকাটা পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও সেখান থেকে বেড়িবাধঁ হয়ে ধুরুংঘাট পর্যন্ত যানবাহন চলেনা। মাত্র আধা কিলোমিটার কাচাঁরাস্তা যানবাহন চলাচলের অন্তরায় হয়ে আছে।
ধুরুং জেটিঘাটে যাতায়াতের দু‘টি সড়কের বেহাল দশায় মালবাহি ট্রলি চলাচল করছেনা। যে কারণে জেটি থাকলেও পন্য খালাস সম্ভব হচ্ছেনা। প্রতিদিন ধুরুংবাজারের অন্তত: চার‘শ ছোট-বড় ব্যবসায়িদের চট্টগ্রাম থেকে বোট যোগে মালামাল দরবার জেটিঘাটে খালাস করে ৭ কিলোমিটার ঘুরে ধুরুংবাজারে নিয়ে আসতে হচ্ছে। ঘাটের মালামাল পরিবহনে ট্রলি শ্রমিক বলেন,ধুরুং জেটি ঘাটে ব্যবসায়িদের পণ্য খালাস হয়না ৫ বছর ধরে। ফলে দরবার জেটিতে মাল খালাস করে ৭ কি.মিটার ঘুরে বাজারে পণ্য নেয়া হচ্ছে।
মালামাল পরিবহনের মাঝি বধির চন্দ্র দাস বলেন, ধুরুং জেটিতে পণ্য খালাস হয়না প্রায় ৪/৫ বছর। মালবাহি ট্রলি চলেনা। এ ছাড়া দরবার জেটি ঘাটে পণ্যের অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। প্রতি বস্তাকাচা মারিচ ১৫ টাকা,ঔষধের কার্টন ১০০ থেকে ২০০ টাকা। আটা,ময়দা, চাউল সব পণ্যের জেটি মাশুল বেশি দিতে হয়।প্রতি দিন গড়ে শুধু ধুরুং বাজারের ব্যবসায়িদের ২০-২৫ টি ট্রলি মালামাল যাচ্ছে। ধুরুং জেটির চেয়ে কয়েকগুণ খরচ বেশি পড়ে দরবার জেটি দিয়ে পরিবহন করলে।ধুরুং বাজারে যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিলার এস.এম মন্জুর আলম,হার্ডওয়ার ও আরএফএল ডিলার এম.শওকত আলম,মুদি ব্যবসায়ি বাবু চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাস,কসমেটিক্স ব্যবসায়ি নেজাম উদ্দিন বলেন,ধুরুং জেটিঘাট সড়কে পরিবহন সুবিধা না থাকায় ৭ কিলোমিটার অদূরে দরবার জেটিতে তাদের পন্য খালাস করে মালামাল নিয়ে আসতে হচ্ছে। এতে সময় ও পরিবহন খরচ উভয়ই বেশি যাচ্ছে ।পেয়ারাকাটা থেকে ধুরুং জেটি পর্যন্ত মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তা ইটসলিন করার দাবি জানান তারা।
ধুরুং জেটি ঘাটের ইজারাদার বদি আলম বলেন, বর্তমানে জেটিতে শুধু যাত্রী ওঠা-নামা করে থাকে। পণ্য খালাস হয়না ৫ বছর যাবত। গত পাঁচ বছরে জেটি ইজারায় তার প্রায় ৭ লক্ষ টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। বছরে ৪/৫ লক্ষ টাকা ইজারা নিয়ে লাভের মুখ দেয়া যায়না। পণ্য পরিবহনে ট্রলি বা ট্রাক যাতায়াত করতে পারেনা সড়কের বেহাল দশা- সংস্কারের অভাবে।বছরের পর বছর এ ভাবেই চলছে সংস্কার বিহীন গুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা দু‘টি। যে কারণে জেটি ইজারা নিয়েও তাকে প্রতিবছর লোকসান গুনতে হচ্ছে।তিনিও পেয়ারাকাটা থেকে ধুরুং জেটি পর্যন্ত অন্তত: ইটসলিন করার দাবি জানান।
No comments