দহগ্রাম-আঙ্গপোতার মানুষ মার্চ থেকেই বিদ্যুত পাবে- বাংলা-ভারত বৈঠকে সিদ্ধান্ত
জেলার বহু আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ছিটমহলের ১৫ হাজার অধিবাসী মার্চ মাসেই বিদ্যুত সুবিধা পাবে। সোমবার তিনবিঘা করিডরে লালমনিরহাট জেলার জেলা প্রশাসক ও ভারতের কুচবিহার জেলা প্রশাসক পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রায় ৩ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্তে পৌঁছে ১ মার্চ থেকে দু'দেশের বিদ্যুত বিভাগের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে ভারতের তিন বিঘা করিডরের মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুত লাইন নির্মাণের কাজ শুরম্ন হবে। জান গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভারত সফরের সময় দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনায় সিদ্ধানত্ম হয় দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ছিটমহলে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার। সেই সিদ্ধানত্ম চূড়ান্ত রূপ দিতে সোমবার দু'দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠকটি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা চলে। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভারতের তিনবিঘা করিডরে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুত লাইন যাবে, যার দৈর্ঘ্য ১৭৮ মিটার। এ কাজ উভয় দেশের বিদ্যুত বিভাগের প্রকৌশলীরা তত্ত্ব্বাবধান করবে। কাজ ১ মার্চ থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ১৫ মার্চের মধ্যে।বৈঠকে বাংলাদেশের পৰে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আলাউদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধিরা হলেন ৩১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসলাম হোসেন, পিডিবি রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হামিদ, পিডিবি'র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজা, সহকারী কমিশনার মোঃ আলম হোসেন। ভারতের পৰে প্রতিনিধিত্ব করেন কুচবিহার জেলার জেলা শাসক শ্রীমতি স্মারকী মহাপাত্রর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন ১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সিও ওমিত কুমার ত্যাগী, কুচবিহারের এডিএম (ভূমি ও রাজস্ব) কেসি মণ্ডল, মেখলীগঞ্জের এসডিও মানবেন্দ্র নাথ, ভারতের কুচবিহারের বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এল বসু। ছিটমহলের বাসিন্দারা একে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের অর্জন হিসেবে দেখছেন।
No comments