নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটি করার প্রস্তাব

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে অনুসন্ধান কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে সংলাপে দল দুটি এ প্রস্তাব দেয়। দুটি দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে মত দেয়। বাসদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়। সংলাপ শেষে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান,


বাসদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সাত বিভাগ থেকে সাতজন নির্বাচন কমিশনার এবং একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এই কমিশন গঠনের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি থাকবে। এই কমিটির সদস্য হবেন প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের একজন করে সদস্য, অনিবন্ধিত দল মনোনীত প্রতিনিধি, বার কাউন্সিলের সভাপতি ও সহসভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কমিটি ১০ জনের একটি প্যানেল তৈরি করবে। রাষ্ট্রপতি ওই ১০ জন থেকে আটজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এরপর কমিশনারদের ভোটে একজন সিইসি হবেন।
খালেকুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন করা ঠিক হবে না। খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে বাসদের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাহেদুল হক ও রাজেকুজ্জামান।
বাসদের আগে সংলাপ হয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে। তবে দলটির সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সংলাপে অংশ নেননি। সংলাপ শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, টাঙ্গাইলের সাংসদ শওকত মোমেন শাহজাহান গত ১৬ নভেম্বর এক জনসভায় কাদের সিদ্দিকীকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন। এর প্রতিবাদে তিনি সংলাপে যোগ দেননি। তাঁকে যুদ্ধাপরাধী বলার ঘটনায় রাষ্ট্রপতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
হাবিবুর রহমান জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনর্বহালের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.