সমাবেশ ও গণমিছিলে শপথ-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের পাশে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধারা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দিতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকবেন মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল রোববার বৃহত্তর ঢাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও গণমিছিলে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা এ কথা বলেন। তাঁরা ২০১২ সালের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করার দাবি জানান। ‘নতুন বছর হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বছর’ স্লোগান সামনে রেখে বৃহত্তর ঢাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয়


কমান্ড কাউন্সিল। বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে শেষ হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খানের নেতৃত্বে গণমিছিল রাসেল স্কয়ার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ হয়ে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে যায়। হুইলচেয়ারে করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারাও এতে অংশ নেন। যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা আসেন। গণমিছিলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ছিল বাদকদল।
গণমিছিল শেষে হেলাল মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে শিখা চিরন্তনীর পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং ২০১২ সালের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে সরকারকে সহযোগিতা করার শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে।
সমাবেশে তাজুল ইসলাম বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা রাজপথে থাকবেন।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ২০০১ সালের পর অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দুই ছেলেকে মামলা থেকে বাঁচাতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বিচার-প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকতে এ ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

No comments

Powered by Blogger.