হাসপাতালের সিঁড়িঘরে শিশুর লাশ-হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস-পাতালের সিঁড়ি ঘরে লাশ পাওয়া শিশু ইশরাত জাহানের হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ওই হাসপাতালের ভাসমান আয়া নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই হাসপাতালের সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিন ভবনের তৃতীয় তলার সিঁড়িঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার হাসপাতালের সর্বত্র আলোচনার বিষয় ছিল এটি।


গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। মর্গ সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, শিশুটিকে শ্বাসরোধ ও পেটে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কে, কারা এবং কেন এ অবুঝ শিশুটিকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে এখনো তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। তবে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
শিশুটির বাবা নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চান না। তবে ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। পুলিশ জানায়, পরিবার মামলা করতে না চাইলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল হক মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁরা হতবাক হয়ে গেছেন। তিনি মনে করছেন, পরিচিত কেউ ডেকে নিয়ে শিশুটিকে খুন করেছে।
কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের পরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, শিশুটিকে যেখানে খুন করা হয়েছে তার পাশের সিঁড়িটি শুধু রোগীদের ওঠানামায় ব্যবহূত হয়। এ কারণে স্থানটিতে লোকজন বেশি থাকে না। তাঁর প্রতিষ্ঠানে এ রকম একটি মর্মান্তিক ঘটনা তাঁকে ভাবিয়ে তুলছে। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্তে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আর ভবনে ঢোকার প্রধান ফটকে তিনি অবিলম্বে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসাবেন।
গত মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিল আড়াই বছরের শিশু ইশরাত। তাঁকে দরজার বাইরে রেখে মা রোজিনা আক্তার চিকিৎসকের কক্ষে ঢোকেন। ১০ মিনিট পর বেরিয়ে দেখেন, মেয়ে উধাও। এরপর পুরো হাসপাতাল খুঁজেও ইশরাতকে পাওয়া যায়নি। প্রায় চার ঘণ্টা পর শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় হাসপাতালের তৃতীয় তলার সিঁড়িঘর থেকে।

No comments

Powered by Blogger.