আপনারা যদি মনঃক্ষুণ্ন হন তাহলে ক্ষমা চাইছি’-কামাল মজুমদারের শাস্তি দাবি
রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার মানববন্ধন করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। মানববন্ধনে ওই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের শাস্তির দাবি জানানো হয়। এদিকে কামাল আহমেদ মজুমদার গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তবু আপনারা যদি মনঃক্ষুণ্ন হন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’ গত মঙ্গলবারের ঘটনায় আহত এক সাংবাদিক এবং
মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি জিডি করে। সাংবাদিকেরা মঙ্গলবার সংবাদ সংগ্রহের জন্য মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার ও তাঁর লোকজনের হামলায় আরটিভির সাংবাদিক অপর্ণা সিংহসহ চারজন লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হবে। গতকাল এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
মানববন্ধন: গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অর্পণা সিংহসহ সাংবাদিকদের নির্যাতনের বিচার চাই’ ব্যানারে মানববন্ধন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কামাল মজুমদারের শাস্তির দাবি জানান। এ ধরনের আচরণের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও অনুরোধ জানানো হয়।
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশ নেন।
কামাল মজুমদারের সংবাদ সম্মেলন: কামাল মজুমদার গতকাল মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শেওড়াপাড়া শাখায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকের হাত মচকে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও গায়ে হাত তুলিনি। তবু আপনারা যদি মনে করেন, মনঃক্ষুণ্ন হন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’ তিনি বলেন, ‘আরটিভির সাংবাদিকেরা যখন শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন, তখন আমি গিয়ে একজনের হাত ধরি। তবে আরটিভি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ধস্তাধস্তির দৃশ্য বাদ দিয়ে হাত ধরার দৃশ্যটি দেখিয়েছে।’
একপর্যায়ে সাংসদ বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। মৃত্যুর মুখ থেকে ঘুরে এসেছি। এখন আপনাদের কি মনে হয়, আমার এই হাত নিয়ে আমি কারও হাত মচকে দিতে পারি?’
সংবাদ সম্মেলনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পাল্টাপাল্টি জিডি: মঙ্গলবারের ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের একজন ওসমান গনি এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই দিন রাতে মিরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্র জানায়, আরটিভির নগর প্রতিবেদক ওসমান গনি জিডিটি করেন সাংসদ কামাল মজুমদার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের করা জিডিতে ওসমান গনি ও অপর্ণা সিংহের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখানো এবং সাংসদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকালে কামাল মজুমদারের মালিকানার টিভি চ্যানেল মোহনায় এক নারী ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে না—এমন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন উপস্থিত ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তাঁকে কামাল মজুমদারের লোক সন্দেহে মারধর করেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
নিন্দা: মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মনিপুর স্কুলের দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করে সাংসদ গণতান্ত্রিক চর্চার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী আচরণ করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদের অবমাননা এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর নৈতিক যথার্থতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। একজন পেশাজীবী নারীর প্রতি এরূপ অশোভন আচরণ অমার্জনীয় অপরাধ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘আমরা মনে করি, এ ধরনের হামলা সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
এ ছাড়া সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম, জিয়া সেনা, প্রগতিশীল শিল্প ও গণমাধ্যমকর্মী ফোরাম ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হবে। গতকাল এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
মানববন্ধন: গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অর্পণা সিংহসহ সাংবাদিকদের নির্যাতনের বিচার চাই’ ব্যানারে মানববন্ধন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কামাল মজুমদারের শাস্তির দাবি জানান। এ ধরনের আচরণের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও অনুরোধ জানানো হয়।
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশ নেন।
কামাল মজুমদারের সংবাদ সম্মেলন: কামাল মজুমদার গতকাল মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শেওড়াপাড়া শাখায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকের হাত মচকে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও গায়ে হাত তুলিনি। তবু আপনারা যদি মনে করেন, মনঃক্ষুণ্ন হন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’ তিনি বলেন, ‘আরটিভির সাংবাদিকেরা যখন শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন, তখন আমি গিয়ে একজনের হাত ধরি। তবে আরটিভি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ধস্তাধস্তির দৃশ্য বাদ দিয়ে হাত ধরার দৃশ্যটি দেখিয়েছে।’
একপর্যায়ে সাংসদ বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। মৃত্যুর মুখ থেকে ঘুরে এসেছি। এখন আপনাদের কি মনে হয়, আমার এই হাত নিয়ে আমি কারও হাত মচকে দিতে পারি?’
সংবাদ সম্মেলনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পাল্টাপাল্টি জিডি: মঙ্গলবারের ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের একজন ওসমান গনি এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই দিন রাতে মিরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্র জানায়, আরটিভির নগর প্রতিবেদক ওসমান গনি জিডিটি করেন সাংসদ কামাল মজুমদার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের করা জিডিতে ওসমান গনি ও অপর্ণা সিংহের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখানো এবং সাংসদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকালে কামাল মজুমদারের মালিকানার টিভি চ্যানেল মোহনায় এক নারী ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে না—এমন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন উপস্থিত ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তাঁকে কামাল মজুমদারের লোক সন্দেহে মারধর করেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
নিন্দা: মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মনিপুর স্কুলের দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করে সাংসদ গণতান্ত্রিক চর্চার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী আচরণ করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদের অবমাননা এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর নৈতিক যথার্থতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। একজন পেশাজীবী নারীর প্রতি এরূপ অশোভন আচরণ অমার্জনীয় অপরাধ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘আমরা মনে করি, এ ধরনের হামলা সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
এ ছাড়া সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম, জিয়া সেনা, প্রগতিশীল শিল্প ও গণমাধ্যমকর্মী ফোরাম ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
No comments