১০ বছরে শীর্ষ ১০ জঙ্গির ফাঁসি
সরকার গত ১০ বছরে শীর্ষ ১০ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করেছে। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে গ্রেনেড হামলার মামলায় হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়। এর আগে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ মধ্যরাতে ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলার জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ ছয় জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ ছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ৬১টি মামলা তদন্ত করছে পুলিশ সদর দফতর। ইতিমধ্যে ১৮টি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাকি মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। সর্বশেষ বুধবার মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে ফাঁসি দেয়া হয়। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ মধ্যরাতে ফাঁসি হয় শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, আবদুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন ও খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক। একই মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান যুগান্তরকে বলেন, প্রায় ২৮ লাখ মামলার তদন্ত ঝুলে আছে। অনেক জঙ্গি হামলার মামলাও তদন্তাধীন।
জঙ্গি ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ, তাই জঙ্গি মামলাগুলোর বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার টাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এসব মামলা তদন্তে পুলিশের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অবহেলায় যেন কোনো জঙ্গি পার পেয়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখার দাবি জানান তিনি। জানা গেছে, ২০০৪ সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে ২১ মে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে দুই ও সিলেট কারাগারে এক জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
No comments