স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা আমাদের দায়িত্ব : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকা সেনা নিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বুধবার এক বৈঠকে জাতীয় প্রতিরক্ষা খসড়া নীতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এখন এটি বিবেচনার জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ডেন্ট লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সরোওয়ার্দি বৈঠকে খসড়া জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি উপস্থাপন করেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহ্ফুজুর রহমান বৈঠকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। ইহ্সানুল করিম বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির খসড়াটি এখন বিবেচনার জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি এবং যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চাই না। তবে আমরা কখনও আক্রান্ত হলে, যেন সমুচিত জবাব দিতে পারি, এজন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল জাতি এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, সংশ্লিষ্ট সচিব এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা যোগ দেন। বাংলা নববর্ষ পালন ও ধর্মের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ব্যাপারে সজাগ থাকতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নববর্ষ উৎসবকে দেশের ঐতিহ্য হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বাংলা নববর্ষ পালন ও ধর্মের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই। এ উৎসব হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে বুধবার নরসিংদী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঁইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, মোগল শাসনামল থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে এবং একই সময়ে মঙ্গল শোভাযাত্রাও শুরু হয়। ‘মঙ্গল’ শব্দটি হিন্দু ধর্ম থেকে উদ্ভূত নয়।
এছাড়া হালখাতাও মোগল আমল থেকেই পালিত হয়ে আসছে। এজন্য এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ একটি সর্বজনীন উৎসব। সব ধর্মের মানুষ এ উৎসবে যোগ দেন। এটাই একমাত্র উৎসব, যা সব ধর্মের মানুষ একত্রে পালন করেন। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) বিভাগের সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। এ সময় এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন। আবদুল মতিন ভূঁইয়া ১৬ মার্চ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১ ফেব্রুয়ারি সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের ইন্তেকালে পদটি শূন্য হয়। প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কার্ড তৈরিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রকর্ম পছন্দ করার মাধ্যমে আবারও তাদের প্রতি তার অসীম স্নেহ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বুধবার বলেন, ‘আগের অনুষ্ঠানগুলোর মতো শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষ ১৪২৪-এর শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রকর্ম বাছাই করেছেন।’ তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য এবার প্রধানমন্ত্রী ৬ প্রতিবন্ধী শিশুর চিত্রকর্ম বাছাই করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আবারও তার অসীম ভালোবাসা ও স্নেহের প্রমাণ দিলেন।
No comments