বিপুল ও রিপনের জঙ্গি হয়ে ওঠার কাহিনী
হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নানের বিশ্বস্ত সহচর শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন- দু’জনই ছিল মেধাবী। সংগঠনে যোগ দেয়ার অল্পদিনেই তারা মুফতি হান্নানের নজরে পড়ে। সিলেটের এমসি কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করা বিপুল ও মদনমোহন কলেজে পড়ুয়া রিপনকে সিলেট অঞ্চলে হুজির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়েই দুর্ধর্ষ জঙ্গি বিপুল সিলেট অঞ্চলকে গোছানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে রিপন। তাদের তৎপরতায় মুগ্ধ হয় মুফতি হান্নান।
দীর্ঘদিন গোপনে কাজ করে তারা সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে গ্রেনেড হামলা চালানোসহ ওই অঞ্চলে আরও হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে। দু’জনেরই বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা সিলেটে হওয়ায় কাজটি তাদের কাছে সহজ হয়ে যায়। ফলে ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েও দীর্ঘদিন তারা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরই রিমান্ডে মুফতি হান্নান সবকিছু খুলে বলে। আর তখনই জানা যায়, সিলেটে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে ছিল এই ‘নায়করা’। বের হয়ে আসে বিপুল ও রিপনের অজানা সব কাহিনী। পরে ২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট থেকে দুর্ধর্ষ এ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই মামলায়ই মুফতি হান্নানের সঙ্গে বিপুল ও রিপনের ফাঁসি হয়।
জঙ্গি বিপুল : সিলেট অঞ্চলের হুজির সংগঠক জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মইশাদিতে। বাবা হেমায়েত হোসেন পাটোয়ারি ওরফে মন্টু চাকরি করতেন ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায়। সেই সুবাদে বিপুলের জন্ম সিলেটে। তার লেখাপড়া ও বেড়ে ওঠা সিলেটেই। শান্তিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত বিপুলের পরিবার। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে বিপুল বড়। সে সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাস করে। মূলত ওই সময় থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে বিপুল। মেধাবী বিপুলকে টার্গেট করে দলে টানে হুজির সদস্যরা। তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় মুফতি হান্নানের সঙ্গে। পরে তাকে সিলেট অঞ্চলের হুজির সংগঠকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠে বিপুল, বনে যায় দুর্ধর্ষ জঙ্গি। ১৯৯৯ সালে বিপুল বাবার কাছে লিবিয়া যাওয়ার বায়না ধরে। পরে লিবিয়া যাওয়ার নাম করে নিরুদ্দেশ হয়। ২০০১ সালে বিপুল একদিন তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সিলেটে। আবার নিরুদ্দেশ হয়। এরপর আর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তার। পরিবারের অজান্তে সে সিলেটে বিয়ে করে। একটি ছেলেও রয়েছে তার।
জঙ্গি রিপন : কলেজের মেধাবী ছাত্র থেকে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি হয়ে ওঠে দেলোয়ার হোসেন রিপন। সে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। বাবা আবু ইউসুফ প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা সমিরুন্নেছা মিলি গৃহিণী। চার ভাই এক বোনের মধ্যে রিপন বড়। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজার জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করে। এরপর সে সিলেটের মদনমোহন কলেজে ভর্তি হয়। দক্ষিণ সুরমা এলাকার এক বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা করত সে। কলেজে ভালো ছাত্র হিসেবে তার সুনাম ছিল। একপর্যায়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয় জঙ্গি বিপুলের। পরে দেখা হয় তৎকালীন জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান ও হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে। রিপনের বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে মুফতি হান্নান রিপনকে কাছে টানে। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে- গ্রেফতারের আগে শায়খ আবদুর রহমান প্রায়ই আসা-যাওয়া করত রিপনের বাড়িতে।
জঙ্গি বিপুল : সিলেট অঞ্চলের হুজির সংগঠক জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মইশাদিতে। বাবা হেমায়েত হোসেন পাটোয়ারি ওরফে মন্টু চাকরি করতেন ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায়। সেই সুবাদে বিপুলের জন্ম সিলেটে। তার লেখাপড়া ও বেড়ে ওঠা সিলেটেই। শান্তিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত বিপুলের পরিবার। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে বিপুল বড়। সে সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাস করে। মূলত ওই সময় থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে বিপুল। মেধাবী বিপুলকে টার্গেট করে দলে টানে হুজির সদস্যরা। তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় মুফতি হান্নানের সঙ্গে। পরে তাকে সিলেট অঞ্চলের হুজির সংগঠকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠে বিপুল, বনে যায় দুর্ধর্ষ জঙ্গি। ১৯৯৯ সালে বিপুল বাবার কাছে লিবিয়া যাওয়ার বায়না ধরে। পরে লিবিয়া যাওয়ার নাম করে নিরুদ্দেশ হয়। ২০০১ সালে বিপুল একদিন তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সিলেটে। আবার নিরুদ্দেশ হয়। এরপর আর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তার। পরিবারের অজান্তে সে সিলেটে বিয়ে করে। একটি ছেলেও রয়েছে তার।
জঙ্গি রিপন : কলেজের মেধাবী ছাত্র থেকে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি হয়ে ওঠে দেলোয়ার হোসেন রিপন। সে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। বাবা আবু ইউসুফ প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা সমিরুন্নেছা মিলি গৃহিণী। চার ভাই এক বোনের মধ্যে রিপন বড়। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজার জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করে। এরপর সে সিলেটের মদনমোহন কলেজে ভর্তি হয়। দক্ষিণ সুরমা এলাকার এক বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা করত সে। কলেজে ভালো ছাত্র হিসেবে তার সুনাম ছিল। একপর্যায়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয় জঙ্গি বিপুলের। পরে দেখা হয় তৎকালীন জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান ও হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে। রিপনের বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে মুফতি হান্নান রিপনকে কাছে টানে। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে- গ্রেফতারের আগে শায়খ আবদুর রহমান প্রায়ই আসা-যাওয়া করত রিপনের বাড়িতে।
No comments