মুফতি হান্নানের ফাঁসিতে এলাকাবাসীর সন্তোষ
নিষিদ্ধ হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা আবদুল হান্নান মুন্সীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এলাকাবসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৬টায় তার নিজ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানা মাঠে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তবে হান্নানের লাশ দাফন নিয়ে স্থানীয়রা নানান প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ গ্রামবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার লাশ কোটালীপাড়ায় দাফনের ঘোরবিরোধী ছিলেন। তারা বলেছেন, শীর্ষ এ জঙ্গিনেতার লাশ কোটালীপাড়ায় যেন দাফন না করা হয়। এর আগে ফাঁসি কার্যকরের পর হান্নানের লাশ কোটালীপাড়ায় দাফনের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে উপজেলা ছাত্রলীগ। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন। সেই মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সম্প্রতি তার সব আইনি ধাপ শেষ হয়।
No comments