ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেলে’ নৃশংস নির্যাতনে খুন তাওহীদ by ওয়েছ খছরু
আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নম্বর কক্ষ।
ছাত্রলীগের টর্চার সেল নামেই পরিচিত ওই কক্ষ। বুধবার বিকালে ছাত্রলীগ কর্মী
রাফি পার্শ্ববর্তী রিকাবীবাজার থেকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রদল নেতা তাওহীদুল
ইসলামকে। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ওই কক্ষে বন্দি করা হয় তাকে। এরপর ওই কক্ষে
তার ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। লোহার রড ও পাইপ দিয়ে টানা কয়েক ঘণ্টা
পেটানো হয়। পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানো হয়। ৫-৬ জন ক্যাডার মিলে
টানা তিন থেকে চার ঘণ্টা চালায় এ নির্যাতন। এক সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে
তাওহীদুল। তার শরীর পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় সন্ধ্যায় তাকে
নিয়ে যাওয়া হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ‘প্রাণ’ আছে দাবি করে
ডাক্তার তাকে নিয়ে যান আইসিইউতে। ওখানে তাকে দুই ঘণ্টা রাখা হয়। পরে রাত
সাড়ে ৮টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. মোর্শেদ
আহমদ চৌধুরী মৃত ঘোষণা করেন তাওহীদুল ইসলামকে। হত্যাকাণ্ডটি প্রথমে অজ্ঞাত
দুর্বৃত্তদের হামলায় ঘটেছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু কলেজের ছাত্রদল সভাপতি
আসলামুল ইসলাম রুদ্র এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, আবু
সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নম্বর কক্ষটি ছাত্রলীগের টর্চার সেল। ওখানে বহু
নিরীহ ছাত্রকে ধরে নিয়ে পেটানো হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ
সব কিছু জানলেও মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সৌমেন, আবু
সিনা ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, ছাত্রলীগ কর্মী শরীফ
ও অমিত সহ বেশ কয়েকজন টানা কয়েক ঘণ্টা নির্যাতন চালিয়ে খুন করেছে
তাওহীদকে।
নিহত তাওহীদুল ইসলাম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী। সে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা এলাকায়। তার পিতা শামসুর রহমান একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাওহীদ ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৯তম ব্যাচের ছাত্র। মা ও বোনকে নিয়ে কাজল শাহ এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। বোন নাহার বেগম সিলেট সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। গতকাল সহপাঠীরা জানান, বুধবার তাওহীদ কলেজে গিয়েছিল। সে নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশও নেয়। এরপর চলে যায় বাসায়। বিকালে তাওহীদ ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসের পাশে রিকাবীবাজারে অবস্থান করছিল। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী রাফি তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাওহীদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইলে কল দেয়া হলেও কেউ রিসিভ করেনি। রাত ৮টার দিকে তারা শুনতে পান তাওহীদের ওপর হামলা হয়েছে এবং তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ তলার আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এ খবর পেয়ে তারা সেখানে যান। কিন্তু প্রথমে তাদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে কলেজের প্রিন্সিপাল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কলেজের ছাত্রদল কর্মীরা জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের কর্মীরা গত ৭ বছর ধরে চাঁদাবাজি করছে। তাদের ভয়ে হল ও ক্যাম্পাস ছাড়া শিক্ষার্থীরা নিয়মিত চাঁদা দিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতো। তেমনি ভাবে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাওহীদের কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কয়েক মাস ধরে টানা চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে তাওহীদ তাদের এক লাখ টাকা দেয়। বাকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান বিকালে ছিলেন রিকাবীবাজার এলাকায়। তিনি জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রাফি সহ কয়েকজন তাওহীদকে রিকাবীবাজার এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায় আবু সিনা ছাত্রাবাস ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। ওই ছাত্রাবাসের ১০০৩ কক্ষ ছাত্রলীগের টর্চার সেল। ওই সেলে রয়েছে বিভিন্ন রকমের অস্ত্র। খোদ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ওই সেলে ধরে নিয়ে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তেমনিভাবে বুধবার ওই সেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাওহীদকে। তিনি বলেন, সেলে আটকে রেখে কয়েক ঘণ্টা চলে তার ওপর নির্যাতন। রড দিয়ে পেটানো হয় শরীরে। রক্তাক্ত করা হয় তাওহীদকে। এক পর্যায়ে তাওহীদের দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সন্ধ্যার পর ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাসপাতালের ৫ম তলার আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাওহীদকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে খবর পেয়ে তাওহীদের ছোট বোন নেহার রহমান হাসপাতালে ছুটে আসেন। ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আসলামুল ইসলাম রুদ্র অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান হাসপাতালের আইসিইউতে তাওহীদের লাশ দেখতে যান। তিনি লাশ দেখে বেরিয়ে আসার সময় বিএমএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে প্রতিদিনই কোন না কোন ছাত্রকে মারধর করছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তিনি তাওহীদের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩-৪ মাস ধরে ছাত্রলীগের নির্যাতন বেড়ে গেছে। একাধিক বার ছাত্রদল কর্মীদের ধরে রুমে নিয়ে পেটায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। তিনি অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে ফোন দিয়ে তিনি বারবার এর প্রতিকার চেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অধ্যক্ষ বাইরের একটি ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীদের বহিষ্কার করেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও হাসপাতালে তাওহীদের লাশ দেখতে যান। তিনি রাজনৈতিক মনোভাবের ঊর্ধ্বে উঠে খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আব্দুস সালাম জানান, সন্ধ্যায় তাওহীদকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সামান্য একটু পালস ছিল দেখে তাকে লাইফ সাপোর্টে রেখেছিলাম। তবে তাকে বাঁচানো যায়নি। এদিকে সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে, তাওহীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার পেছন দিকে একেবারে থেঁতলে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ধারণা করছে রড অথবা পাইপ জাতীয় কিছু দিয়ে তাকে পেটানোর ফলে তার মৃত্যু হয়। বুধবার রাতেই কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাওহীদকে হত্যার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা হোস্টেলেই ছিল। রাত ৮টার পরে হোস্টেল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে খুনের ঘটনার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রাতেই ছাত্রদলকর্মীরা সিলেট ওসমানী হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামালের নেতৃত্বে রাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে সমাবেশ করে ছাত্রদল। এ সময় মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রুদ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেন। গতকাল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই ছাত্রদলকর্মী তাওহীদ খুনে ছাত্রলীগ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছে তাওহীদ। তিনি বলেন, ছাত্রদল নিজ দায় ছাত্রলীগের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। এদিকে, গতকাল সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছাত্রদল কর্মী তাওহীদের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে তার মরদেহের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, ছাত্রদল নেতা আবদুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, সাঈদ আহমদ, রেজাউল করিম নাচন সহ সিনিয়র নেতা অংশ নেন। জানাজার পর পুলিশের প্রটেকশনে নিহত তাওহীদের লাশ পাঠিয়ে দেয়া হয় গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরে।
রোববার আধাবেলা হরতাল: নিহত তাওহীদের জানাজার পরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এমএ হক। এ সময় তার সঙ্গে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এমএ হক অভিযোগ করেন, তাওহীদের খুনি কারা তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। কিন্তু প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বলেন, তাওহীদকে পৈশাচিক কায়দায় নির্মমভাবে খুন করা হয়। ছাত্রলীগের টর্চার সেলে তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে খুন করা হয়। তিনি বলেন, খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ সময় তিনি রোববার সিলেট নগরীতে সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোববারের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ছাত্রদলের বিক্ষোভ: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে রাখা ছাত্রদল নেতা তাওহীদের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার সহপাঠীরা। ছাত্রদলের জেলা ও মহানগর কর্মীরা কাঁদেন। জানাজা শেষে তারা তাওহীদের লাশ নিয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা চালান। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে তারা লাশ নিয়ে মিছিল বের করতে পারেনি। এ সময় ছাত্রদল নেতা আবদুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, সাঈদ আহমদ, রেজাউল করিম নাচনের নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। লাশবাহী গাড়ির পিছু পিছু মিছিলটি মূল ফটক পর্যন্ত আসে।
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪৯তম ব্যাচের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র, ছাত্রদল নেতা মো. তাওহীদুর রহমানকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের ডাকা অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট চলছে। ছাত্রদলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরে মিছিলে কলেজ ছাত্রদলের সঙ্গে জেলা, মহানগর ছাত্রদল ও অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রদল অংশগ্রহণ করে।
ছাত্রদলের তিন দিনের কর্মসূচি: এদিকে ছাত্রদল নেতা তাওহীদ খুনের ঘটনায় সিলেটে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। গতকাল দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এক সমাবেশ থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আসলামুল ইসলাম রুদ্র তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির প্রথম দিন শুক্রবার বাদ জুমা রুহের মাগফেরাত কামনা করে কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল হবে। শনিবার দুপুর ১২টায় মেডিকেল কলেজ গেইট থেকে শোক র্যালি নগর প্রদক্ষিণ করবে। রোববার সিলেটের সকল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। কর্মসূচি চলাকালে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে সমগ্র বাংলাদেশে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।
৬ দিনের বন্ধ ঘোষণা মেডিকেল কলেজ, তদন্ত কমিটি গঠন: ছাত্রদল কর্মী তাওহীদ খুনের ঘটনার পর গতকাল দুপুরে ৬ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কলেজ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় গতকাল সকালে হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। ওদিকে, দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসন বৈঠক করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শেষে কলেজের প্রিন্সিপাল মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, অধ্যাপক একেএম মোশারফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments