ছাত্র হত্যায় উত্তপ্ত সিলেট মেডিকেল কলেজ বন্ধ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় আগামী ১২ জুন পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নগরীতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সহিংসতা ঠেকাতে ক্যাম্পাস ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তাওহীদকে নিজেদের কর্মী দাবি করে তার হত্যার প্রতিবাদে বুধবার রাতেই কলেজে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে ছাত্রদল। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আগামী রোববার সিলেট মহানগরে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
তাওহীদের চাচা আনোয়ার হোসেন মাতব্বর বৃহস্পতিবার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় তাওহীদকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের নেতারা। গত বুধবার সন্ধ্যায় চৌহাট্টার আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নম্বর কক্ষে তাওহীদকে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত পৌনে ৯টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। তাওহীদ ওসমানী মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে তাওহীদের লাশ শরীয়তপুরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। তাওহীদ হত্যার ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলেজ বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তাওহীদের চাচার করা মামলায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাফিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হল : কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমিক দে, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ, পাঠান, অন্তর, ফাহিম, শরীফুল, জুবায়ের ইবনে খায়ের ও রিপন। এসআই সিরাজুল ইসলামকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মসজিদ মাঠে তাওহীদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজায় অংশ নেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি এমএ হক, সহসভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল আহাদ খান জামালসহ অন্য নেতাকর্মীরা। এরপর তাওহীদের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাওহীদ শরীয়তপুরের জাজিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান মাতব্বরের ছেলে।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত ১০ : তাওহীদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সিলেটে মহানগর বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় যুবলীগকর্মীদের হাতে ওসি (তদন্ত) শ্যামল দত্ত লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকালে কোর্টপয়েন্ট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি চলছিল। একই সময় জিন্দাবাজার এলাকা থেকে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পৃথক দুটি মিছিল ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির মিছিল থেকে ‘ধর ধর, ছাত্রলীগ ধর’ স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিএনপি, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার কিছু সময় পর মহানগর যুবলীগ নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে এসে ওসি (তদন্ত) শ্যামল দত্তকে লাঞ্ছিত করে। তারা যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটা করায় ওসির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তারা শ্যামল দত্তকে মারতে উদ্যত হলে ওসি আতাউরসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করেন।
তাওহীদকে নিজেদের কর্মী দাবি করে তার হত্যার প্রতিবাদে বুধবার রাতেই কলেজে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে ছাত্রদল। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আগামী রোববার সিলেট মহানগরে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
তাওহীদের চাচা আনোয়ার হোসেন মাতব্বর বৃহস্পতিবার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় তাওহীদকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের নেতারা। গত বুধবার সন্ধ্যায় চৌহাট্টার আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নম্বর কক্ষে তাওহীদকে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত পৌনে ৯টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। তাওহীদ ওসমানী মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে তাওহীদের লাশ শরীয়তপুরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। তাওহীদ হত্যার ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলেজ বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তাওহীদের চাচার করা মামলায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাফিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হল : কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমিক দে, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ, পাঠান, অন্তর, ফাহিম, শরীফুল, জুবায়ের ইবনে খায়ের ও রিপন। এসআই সিরাজুল ইসলামকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মসজিদ মাঠে তাওহীদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজায় অংশ নেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি এমএ হক, সহসভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল আহাদ খান জামালসহ অন্য নেতাকর্মীরা। এরপর তাওহীদের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাওহীদ শরীয়তপুরের জাজিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান মাতব্বরের ছেলে।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত ১০ : তাওহীদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সিলেটে মহানগর বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় যুবলীগকর্মীদের হাতে ওসি (তদন্ত) শ্যামল দত্ত লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকালে কোর্টপয়েন্ট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি চলছিল। একই সময় জিন্দাবাজার এলাকা থেকে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পৃথক দুটি মিছিল ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির মিছিল থেকে ‘ধর ধর, ছাত্রলীগ ধর’ স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিএনপি, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার কিছু সময় পর মহানগর যুবলীগ নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে এসে ওসি (তদন্ত) শ্যামল দত্তকে লাঞ্ছিত করে। তারা যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটা করায় ওসির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তারা শ্যামল দত্তকে মারতে উদ্যত হলে ওসি আতাউরসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করেন।
No comments