সরকারের ৩ বছর: বেসরকারীকরণ-বেসরকারীকরণ কমিশন আছে কেবল নামেই by জাহাঙ্গীর শাহ
বেসরকারীকরণ কমিশন আছে কেবল নামেই। কমিশনের কোনো কাজ কার্যত নেই। বন্ধ হয়ে আছে বেসরকারীকরণের কাজও। তিন বছরে কমিশন মাত্র তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করতে পেরেছে। এতেও তেমন কোনো কৃতিত্ব কমিশনের নেই। এই তিন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা আগের সরকার সম্পন্ন করেছিল। এই কমিশন কেবল ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করেছে। গত তিন বছরে যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে
বেসরকারি ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো হলো: সাতরং টেক্সটাইল মিল, পার্টিকেল বোর্ড অ্যান্ড ভিনিয়ারিং প্ল্যান্ট ও সালাতিন সিন্ডিকেট। এগুলো কিনেছে যথাক্রমে এমএম মাল্টি ফাইবার, সারপ্রাইজ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
সূত্র জানায়, দায়দেনা নিরূপণে জটিলতা ছাড়াও ক্রেতার কাছে হস্তান্তরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনীহা রয়েছে। এ কারণেও দীর্ঘায়িত হচ্ছে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বেসরকারীকরণ সম্পর্কে বলেন, ‘শিল্পনীতিতে তো বলাই হয়েছে, সরকার আর কোনো নতুন শিল্পকারখানা তৈরি করবে না।’ মন্ত্রী প্রথম আলোকে আরও বলেন, সার কারখানা ও স্টিল মিলগুলো লাভজনক। আর চিনিকলগুলো লোকসানে আছে। এগুলো কেউ নেবে না। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের হাতে কিছু চিনিকল থাকা দরকার রয়েছে। আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই চালাতে সক্ষম।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কখনোই বেসরকারীকরণে আগ্রহ দেখায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারীকরণ প্রথম বছর বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। সরকারে এই অবস্থানের কারণে তিন বছরে কখনোই গতি পায়নি বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া। কমিশন নিয়ে সরকারের একমাত্র পদক্ষেপ ছিল কৃষক লীগের সভাপতি মির্জা আবদুল জলিলকে চেয়ারম্যান করা।
কমিশনের স্থবিরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত তিন বছরে আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমার কাছে পণ্য না দিলে আমি কীভাবে বিক্রি করব? পাট, বস্ত্র ও শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব মন্ত্রণালয়ের হাতে রয়েছে তারা বেসরকারি কমিশনের মাধ্যমে তা বিক্রি করতে আগ্রহী নয়।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো নিজেরাই নিজেদের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করতে চায়। কিন্তু এটা বেসরকারি কমিশন আইনের বিরোধী।
মির্জা জলিল আরও বলেন, আইনে বেসরকারি কমিশনের মাধ্যমে পুরো বিক্রি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষমতা না দেওয়ায় জটিলতা বেড়েছে।
২২ প্রতিষ্ঠানের বেসরকারীকরণ: তিন বছর আগে বেসরকারীকরণের জন্য দেওয়া ২২টি প্রতিষ্ঠান কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন বছরে মাগুরা টেক্সটাইল ও রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ক্রেতা চূড়ান্ত করা হয়নি। বাকি ২০টি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ মূল্যায়ন-প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাঙ্গামাটির প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সেলস অর্গানাইজেশন, রাঙামাটির কর্ণফুলী টিম্বার এক্সট্রাকশন ইউনিট, রাঙামাটির লুম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্সকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনেকবার অনুরোধ করেছে বেসরকারি কমিশন। কিন্তু এখনো তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
আর মামলাজনিত কারণে কিশোরগঞ্জের ন্যাশনাল সুগার মিল ও পাবনার নর্থবেঙ্গল পেপার মিল ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের মনোয়ার জুট মিল, নরসিংদীর হ্যান্ডলুম সার্ভিস সেন্টার, রাজশাহী সিল্ক ফ্যাক্টরি, ঠাকুরগাঁও সিল্ক ফ্যাক্টরি, ঢাকা লেদার কোম্পানি, চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স, রাঙামাটির কর্ণফুলী রেয়ন অ্যান্ড কেমিক্যাল, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ক্যান কোম্পানি, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রামের এ্যারোমা টি, চট্টগ্রামের অ্যাক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, যশোরের এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, টাঙ্গাইল কটন মিল, সুনামগঞ্জের ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার ও হোলসেল ফিশ মার্কেট এবং টাইগার ওয়্যার প্রোডাক্টস নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেনার ভারে জর্জরিত। তাই দায়দেনা নিরূপণ করে সম্পদের মূল্যায়ন করা যাচ্ছে না। এসব কারণেই বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না।
বেসরকারীকরণে দ্বন্দ্ব: ২০০৪ সালে কিশোরগঞ্জের ন্যাশনাল সুগার মিলটি বেসরকারি খাতে ছাড়তে তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া যায়নি। একই বছর ষষ্ঠ বারের দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আফতাব গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আফতাব গ্লোবাল টেক্সটাইলকে নির্বাচিত করা হয়। একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ক্রেতা চার কোটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে।
এখনো ন্যাশনাল সুগার মিল বুঝে পায়নি আফতাব গ্লোবাল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিল্প মন্ত্রণালয় বেসরকারি কমিশনকে জানিয়ে দেয়, তারা নিজেরাই প্রতিষ্ঠানটি চালাতে সক্ষম। তাই বেসরকারীকরণের তালিকা থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করে।
এ নিয়ে বেসরকারি কমিশন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। দেড় বছর আগে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেও এর সুরাহা হয়নি। অর্থ পরিশোধের পর চিনিকলটি বুঝিয়ে না দেওয়ায় ক্রেতা এর মধ্যে বেসরকারি কমিশনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
রাষ্ট্রীয় লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কমিশনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই দুই মন্ত্রণালয়ের করপোরেশনভুক্ত ৩৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩৪টিই লোকসানে রয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ১৩টি প্রতিষ্ঠান।
২০১১ সালের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান-সম্পর্কিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে বেসরকারীকরণ কমিশন বলেছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনীহার কারণে বেসরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। আবার প্রতিবছর বিপুল লোকসানের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ কারখানাগুলো পরিচালনা করতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট করপোরেশনগুলো। ফলে সরকারের লোকসানের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বছরের পর বছর পরিচালনা ব্যয় মেটাতে গিয়ে বাজেটের ওপর চাপ বাড়ছে।
সূত্র জানায়, দায়দেনা নিরূপণে জটিলতা ছাড়াও ক্রেতার কাছে হস্তান্তরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনীহা রয়েছে। এ কারণেও দীর্ঘায়িত হচ্ছে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বেসরকারীকরণ সম্পর্কে বলেন, ‘শিল্পনীতিতে তো বলাই হয়েছে, সরকার আর কোনো নতুন শিল্পকারখানা তৈরি করবে না।’ মন্ত্রী প্রথম আলোকে আরও বলেন, সার কারখানা ও স্টিল মিলগুলো লাভজনক। আর চিনিকলগুলো লোকসানে আছে। এগুলো কেউ নেবে না। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের হাতে কিছু চিনিকল থাকা দরকার রয়েছে। আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই চালাতে সক্ষম।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কখনোই বেসরকারীকরণে আগ্রহ দেখায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারীকরণ প্রথম বছর বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। সরকারে এই অবস্থানের কারণে তিন বছরে কখনোই গতি পায়নি বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া। কমিশন নিয়ে সরকারের একমাত্র পদক্ষেপ ছিল কৃষক লীগের সভাপতি মির্জা আবদুল জলিলকে চেয়ারম্যান করা।
কমিশনের স্থবিরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত তিন বছরে আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমার কাছে পণ্য না দিলে আমি কীভাবে বিক্রি করব? পাট, বস্ত্র ও শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব মন্ত্রণালয়ের হাতে রয়েছে তারা বেসরকারি কমিশনের মাধ্যমে তা বিক্রি করতে আগ্রহী নয়।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো নিজেরাই নিজেদের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করতে চায়। কিন্তু এটা বেসরকারি কমিশন আইনের বিরোধী।
মির্জা জলিল আরও বলেন, আইনে বেসরকারি কমিশনের মাধ্যমে পুরো বিক্রি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষমতা না দেওয়ায় জটিলতা বেড়েছে।
২২ প্রতিষ্ঠানের বেসরকারীকরণ: তিন বছর আগে বেসরকারীকরণের জন্য দেওয়া ২২টি প্রতিষ্ঠান কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন বছরে মাগুরা টেক্সটাইল ও রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ক্রেতা চূড়ান্ত করা হয়নি। বাকি ২০টি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ মূল্যায়ন-প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাঙ্গামাটির প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সেলস অর্গানাইজেশন, রাঙামাটির কর্ণফুলী টিম্বার এক্সট্রাকশন ইউনিট, রাঙামাটির লুম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্সকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনেকবার অনুরোধ করেছে বেসরকারি কমিশন। কিন্তু এখনো তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
আর মামলাজনিত কারণে কিশোরগঞ্জের ন্যাশনাল সুগার মিল ও পাবনার নর্থবেঙ্গল পেপার মিল ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের মনোয়ার জুট মিল, নরসিংদীর হ্যান্ডলুম সার্ভিস সেন্টার, রাজশাহী সিল্ক ফ্যাক্টরি, ঠাকুরগাঁও সিল্ক ফ্যাক্টরি, ঢাকা লেদার কোম্পানি, চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স, রাঙামাটির কর্ণফুলী রেয়ন অ্যান্ড কেমিক্যাল, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ক্যান কোম্পানি, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রামের এ্যারোমা টি, চট্টগ্রামের অ্যাক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, যশোরের এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, টাঙ্গাইল কটন মিল, সুনামগঞ্জের ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার ও হোলসেল ফিশ মার্কেট এবং টাইগার ওয়্যার প্রোডাক্টস নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেনার ভারে জর্জরিত। তাই দায়দেনা নিরূপণ করে সম্পদের মূল্যায়ন করা যাচ্ছে না। এসব কারণেই বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না।
বেসরকারীকরণে দ্বন্দ্ব: ২০০৪ সালে কিশোরগঞ্জের ন্যাশনাল সুগার মিলটি বেসরকারি খাতে ছাড়তে তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া যায়নি। একই বছর ষষ্ঠ বারের দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আফতাব গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আফতাব গ্লোবাল টেক্সটাইলকে নির্বাচিত করা হয়। একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ক্রেতা চার কোটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে।
এখনো ন্যাশনাল সুগার মিল বুঝে পায়নি আফতাব গ্লোবাল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিল্প মন্ত্রণালয় বেসরকারি কমিশনকে জানিয়ে দেয়, তারা নিজেরাই প্রতিষ্ঠানটি চালাতে সক্ষম। তাই বেসরকারীকরণের তালিকা থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করে।
এ নিয়ে বেসরকারি কমিশন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। দেড় বছর আগে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেও এর সুরাহা হয়নি। অর্থ পরিশোধের পর চিনিকলটি বুঝিয়ে না দেওয়ায় ক্রেতা এর মধ্যে বেসরকারি কমিশনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
রাষ্ট্রীয় লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কমিশনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই দুই মন্ত্রণালয়ের করপোরেশনভুক্ত ৩৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩৪টিই লোকসানে রয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ১৩টি প্রতিষ্ঠান।
২০১১ সালের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান-সম্পর্কিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে বেসরকারীকরণ কমিশন বলেছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনীহার কারণে বেসরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। আবার প্রতিবছর বিপুল লোকসানের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ কারখানাগুলো পরিচালনা করতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট করপোরেশনগুলো। ফলে সরকারের লোকসানের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বছরের পর বছর পরিচালনা ব্যয় মেটাতে গিয়ে বাজেটের ওপর চাপ বাড়ছে।
No comments