গাজায় কত দিন চলবে ইসরায়েলি অভিযান?
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গতকাল লন্ডনে ইসরায়েল দূতাবাস অভিমুখী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। এএফপি |
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গত শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। এরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, সামনের দিনগুলোতে অভিযানের পরিধি আরও বাড়তে পারে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এই অভিযান কত দিন চলবে? নেতানিয়াহু শুক্রবার বলেন, ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রতি আমার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে, স্থল অভিযানের সম্ভাব্য পরিধি সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ও আইডিএফ এ বিষয়ে প্রস্তুত।’ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় স্থল হামলার দিকে কেন এগোলে, দেশের জনগণকে তার একটা ব্যাখ্যা দিতে শুক্রবার ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এতে তিনি বলেন, ‘অন্য সম্ভাব্য পথ কাজ না করার কারণেই আমরা এই অভিযানের পথ বেছে নিয়েছি। আর আমরা এটাও বুঝতে পেরেছি, কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমাদের যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তার পরিমাণটা আরও বাড়বে।’ স্থল অভিযানের কারণে উভয় পক্ষকে কতটা মূল্য দিতে হবে, তা এখনো অজানা। তবে চলমান সংঘাত শুরুর পর এরই মধ্যে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে; আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। অন্যদিকে দুজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে ১০ জনের মতো।
কিন্তু এ সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা এখনো কেউ জানে না। কারণ, স্থল অভিযান শুরু করলেও কবে তা শেষ হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি ইসরায়েল। গাজায় অভিযান শেষে ইসরায়েলের বেরিয়ে আসার কৌশল কী হবে, তাও এখনো অজানা। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়া’আলোন শুক্রবার বলেন, ‘যতদিন দরকার এবং শান্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।’ ইসরায়েলি স্থল অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, গাজার গোপন সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করা। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়। তবে সুড়ঙ্গ ধ্বংসের পরও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আরও কিছুদিন থাকতে পারে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য ইউভাল স্টেইনিৎজ এমন আভাস দিয়ে বলেন, ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’-এর আওতায় ইসরায়েল পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরায়েল। ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত সেখানে ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীরা ছিল। ৪০ বছর পর তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টাইম।
No comments