গাজার বাতাসে মৃত্যুর জীবাণু
বাতাসে মৃত্যুর জীবানু- প্রাণ বাঁচানো শ্বাসটুকুও আজ নিরাপদ নয় গাজায়। নির্মল বাতাসে এখন বিষাক্ত গ্যাস। বিমান হামলার সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইল গাজা আক্রমণে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় আক্রমণকালে ইসরাইলি সৈন্যরা কামান থেকে সাদা ধরনের বিষাক্ত গ্যাস ছুড়ে দেয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এ গ্যাসে শিশুসহ দশ ফিলিস্তিনি নাগরিক মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ কাদরি গাজাবাসীকে গ্যাস থেকে বাঁচতে নাইলন কোট ব্যবহারের এবং ভেজা কাপড়ের টুকরা দিয়ে জানলা-দরজা সিল করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়ার্ল্ড বুলেটিন। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন ওবামা। তবে ইসরাইলের আত্মরক্ষায় অধিকারের সমর্থন দেয়ার নীতি থেকে সরে আসেননি তিনি। নেতানিয়াহুর সঙ্গে শুক্রবার কথোপকথনের সময় তিনি ফিলিস্তিনের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষার্থে আক্রমণ চালানোর ব্যাপারে জোর দেন।
তবে ওবামা এ হামলায় ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘ভীষণ উদ্বিগ্ন’ বলে ফোনে নেতানিয়াহুকে জানান। শুধু বিমান হামলা থেকে হামাসের ট্যানেল নেটওয়ার্কে পৌঁছানো সম্ভব নয়, তাই স্থল হামলা চালানো হচ্ছে বলে নেতানিয়াহু ওবামাকে জানিয়েছেন। এর জবাবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানান, কোনো দেশই নিজেদের ভূখণ্ডে রকেট হামলা মেনে নেবে না। তবে যত সম্ভব কমসংখ্যক বেসামরিক নাগরিকদের আঘাত করে অভিযান পরিচালানোর জন্য ইসরাইলের সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ১০ দিন ধরে বিমান হামলা চালানোর পর স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরাইলের স্থল হামলা শুরু হওয়ার পর কমপক্ষে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের দিনটা অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকলেও রাতভর ইসরাইলি ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার সকালেও ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে অস্ত্রবিরতির উদ্যোগ জোরদার করতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন শনিবার ওই অঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেফ্রি ফেল্টম্যান নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে বলেন, ‘বান কি মুন সহিংসতা বন্ধ এবং সংকট উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের আঞ্চলিক ও ‘আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে’ সমন্বয় করতে সহায়তা করবেন।’ স্থল ও আকাশপথে ইসরাইলি হামলা সত্ত্বেও গাজার মূল শক্তি হামাস তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।
No comments