ভারতে ‘তিন তালাক’ বন্ধে উদ্যোগ মুসলিম ব্যক্তিত্বদের
ভারতের বিশিষ্ট মুসলমান ব্যক্তিত্বরা মুসলিম পারিবারিক আইনের সংস্কার আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন আলেম, শিক্ষাবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এ সম্পর্কে আজ রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, আইন সংকলন-সংক্রান্ত ভারতের জাতীয় পরামর্শ প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে একটি বৈপ্লবিক খসড়া প্রস্তুত করেছে।
ওই খসড়ায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ‘তিন তালাক’ দেওয়ার রীতি নিষিদ্ধ করা এবং বহুবিবাহ সীমিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার এই পারিবারিক আইনের সংস্কারের প্রস্তাব গ্রহণ করলে পরে তা আইনে পরিণত করার জন্য পার্লামেন্টে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া এমন অনেক বিষয় আছে, যা ইসলাম অনুমোদন করলেও শত শত বছর ধরে কিছু ধর্মীয় নেতার কারণে সাধারণ মুসলমানেরা তা করতে পারেনি। তাই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর প্রস্তাব করেছেন মুসলমান সমাজের অগ্রসরমাণ ওই শিক্ষাবিদেরা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আসগর আলী ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, ‘পারিবারিক আইনের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। আমরা নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করছি না। কেবল পবিত্র কোরআন শরিফে বিদ্যমান নারী-পুরুষের বিধি-বিধানগুলোকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি।’ ‘ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন’ এবং ‘ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজ’কে সঙ্গে নিয়ে আসগর আলীর ‘সেন্টার ফর স্টাডি অব সোসাইটি অ্যান্ড সেক্যুলারিজম’ নয়াদিল্লিতে এক সভার আয়োজন করে। ওই সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘ইসলামে এক সঙ্গে তিন তালাক দেওয়ার কোনো স্থান নেই। এই বিধানকে অবশ্যই বিলোপ করতে হবে’—বলছিলেন ওই সভার অন্যতম আলোচক মুম্বাইভিত্তিক ‘ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজে’র কুতুব জেহান কিদোয়াই। আলোচনায় বক্তারা বলেন, ইসলামে শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে বহুবিবাহ চালু ছিল। কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, ‘ওহুদের যুদ্ধে প্রচুর মানুষ মারা যায় এবং এতে আরবের বহু নারী বিধবা হন আর এতিম হয়ে যায় অনেকেই। পবিত্র কোরআন শরিফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চার জন স্ত্রীর প্রতি সমান আচরণ দেখাতে না পারলে একজন পুরুষের উচিত একটি মাত্র বিয়ে করা।’
বিশিষ্ট মুসলমান ব্যক্তিত্বদের তৈরি ওই খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, মুসলমানদের বিয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে হবে। নিকাহ নিবন্ধক নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। বিয়েতে কনের সম্মতি আছে কি না, তা আগেই জেনে নিতে হবে। এ ছাড়া কনের বয়স অন্তত ১৮ এবং বরের বয়স হতে হবে ২১ বছর।
এ ছাড়া এমন অনেক বিষয় আছে, যা ইসলাম অনুমোদন করলেও শত শত বছর ধরে কিছু ধর্মীয় নেতার কারণে সাধারণ মুসলমানেরা তা করতে পারেনি। তাই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর প্রস্তাব করেছেন মুসলমান সমাজের অগ্রসরমাণ ওই শিক্ষাবিদেরা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আসগর আলী ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, ‘পারিবারিক আইনের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। আমরা নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করছি না। কেবল পবিত্র কোরআন শরিফে বিদ্যমান নারী-পুরুষের বিধি-বিধানগুলোকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি।’ ‘ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন’ এবং ‘ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজ’কে সঙ্গে নিয়ে আসগর আলীর ‘সেন্টার ফর স্টাডি অব সোসাইটি অ্যান্ড সেক্যুলারিজম’ নয়াদিল্লিতে এক সভার আয়োজন করে। ওই সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘ইসলামে এক সঙ্গে তিন তালাক দেওয়ার কোনো স্থান নেই। এই বিধানকে অবশ্যই বিলোপ করতে হবে’—বলছিলেন ওই সভার অন্যতম আলোচক মুম্বাইভিত্তিক ‘ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজে’র কুতুব জেহান কিদোয়াই। আলোচনায় বক্তারা বলেন, ইসলামে শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে বহুবিবাহ চালু ছিল। কেরালা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, ‘ওহুদের যুদ্ধে প্রচুর মানুষ মারা যায় এবং এতে আরবের বহু নারী বিধবা হন আর এতিম হয়ে যায় অনেকেই। পবিত্র কোরআন শরিফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চার জন স্ত্রীর প্রতি সমান আচরণ দেখাতে না পারলে একজন পুরুষের উচিত একটি মাত্র বিয়ে করা।’
বিশিষ্ট মুসলমান ব্যক্তিত্বদের তৈরি ওই খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, মুসলমানদের বিয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে হবে। নিকাহ নিবন্ধক নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। বিয়েতে কনের সম্মতি আছে কি না, তা আগেই জেনে নিতে হবে। এ ছাড়া কনের বয়স অন্তত ১৮ এবং বরের বয়স হতে হবে ২১ বছর।
No comments