যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে কংগ্রেসে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব উত্থাপন by ইব্রাহীম চৌধুরী
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন সংস্কারের নতুন একটি প্রস্তাব কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রায় এক কোটি অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন কংগ্রেসম্যান লুইস গাটিয়ারেজ। গত মঙ্গলবার কংগ্রেসে নতুন করে বিল উত্থাপনের পর লুইস গাটিয়ারেজ বলেছেন, ভেঙে পড়া অভিবাসন-ব্যবস্থায় জন-অসন্তোষ এখন চরমে। লাখ লাখ কাগজপত্রহীন অভিবাসীর মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। উদারনৈতিক মহল, অভিবাসী গোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর ধৈর্যচ্যুতির আগেই প্রস্তাবটি আইনে পরিণত করার আহ্বান জানান লুইস।
স্বাস্থ্যনীতির সংস্কার নিয়ে বিভক্ত মার্কিন আইনপ্রণেতারা। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সবার জন্য স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করার আইন প্রণয়নে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বড়দিনের আগেই স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন নিয়ে ওয়াশিংটনে এখন চরম উত্তেজনা চলছে। অভিবাসন সংস্কার নিয়ে আগামী বছর উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর মধ্যে প্রেসিডেন্টের নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৮৭ জন আইনপ্রণেতা ঐক্যবদ্ধভাবে গত মঙ্গলবার অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের চলমান মন্দার কারণে অর্থনীতিতে অবৈধ অভিবাসীদের সংকট বেড়েছে দ্বিগুণ। কাগজপত্রহীন অভিবাসীরাই সাধারণত এখানে নিম্ন আয়ের কাজকর্ম করে থাকেন। মন্দার কবলে পড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে মার্কিন নাগরিক ও বৈধ অভিবাসীরাই এখন নিম্ন আয়ের সাধারণ কাজ করছেন। পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রে যেকোনো কর্মী নিয়োগের আগে অভিবাসন দপ্তর থেকে যাচাই করে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নিয়োগকর্তাদের জন্য। সংকটজনক এ পরিস্থিতিতে এক কোটিরও বেশি অবৈধ অভিবাসীর এখন নাভিশ্বাস অবস্থা।
অভিবাসন সংস্কার নিয়ে অবৈধদের বৈধতা দেওয়া নিয়ে এক দশক ধরে শুধু রাজনৈতিক বিতর্কই হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ উদ্যোগ নিলেও অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে কংগ্রেসের অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হন।
গত নির্বাচনে অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। ওবামা নিজেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিষয়টি যেভাবেই হোক সুরাহা করার। ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যবিমা প্রণয়ন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও যুদ্ধনীতির বিতর্কে আটকা পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এর মধ্যে অভিবাসী গোষ্ঠীগুলোর চাপের মুখেই গত মঙ্গলবার অভিবাসন আইন সংস্কারের নতুন প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়েছে।
কংগ্রেসম্যান লুইস তাঁর প্রস্তাবে বলেছেন, অপরাধী নয়, এমন অবৈধ অভিবাসীরা ৫০০ ডলার জরিমানা দিয়ে এখানে বৈধতার আবেদন করতে পারবেন। অবৈধ অভিবাসীদের প্রমাণ করতে হবে, তাঁদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার রেকর্ড রয়েছে। নতুন এ প্রস্তাবে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার জন্য স্বদেশে ফিরে যেতে হবে না। পাশাপাশি এখানকার শ্রমবাজারে কর্মীসংকট নিরসনের জন্য অস্থায়ীভাবে শ্রমিক আমদানির কথাও বলা হয়েছে কংগ্রেসম্যান লুইসের আইনপ্রস্তাবে।
অভিবাসন আইন সংস্কারের বিল উপস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন করে বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে। রিপাবলিকানদের বক্তব্য, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশে এমনিতেই বেকারত্ব বেড়ে গেছে; নাগরিকেরাই কাজ পাচ্ছে না, এর মধ্যে এক কোটি অবৈধদের বৈধতা দেওয়ার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
অ্যারিজোনা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান জেফ ফ্লেইক বলেছেন, সমন্বিত কর্মসূচি ছাড়া কার্যকরভাবে অভিবাসন আইনের সংস্কার সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্যনীতির সংস্কার নিয়ে বিভক্ত মার্কিন আইনপ্রণেতারা। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সবার জন্য স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করার আইন প্রণয়নে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বড়দিনের আগেই স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন নিয়ে ওয়াশিংটনে এখন চরম উত্তেজনা চলছে। অভিবাসন সংস্কার নিয়ে আগামী বছর উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর মধ্যে প্রেসিডেন্টের নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৮৭ জন আইনপ্রণেতা ঐক্যবদ্ধভাবে গত মঙ্গলবার অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের চলমান মন্দার কারণে অর্থনীতিতে অবৈধ অভিবাসীদের সংকট বেড়েছে দ্বিগুণ। কাগজপত্রহীন অভিবাসীরাই সাধারণত এখানে নিম্ন আয়ের কাজকর্ম করে থাকেন। মন্দার কবলে পড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে মার্কিন নাগরিক ও বৈধ অভিবাসীরাই এখন নিম্ন আয়ের সাধারণ কাজ করছেন। পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রে যেকোনো কর্মী নিয়োগের আগে অভিবাসন দপ্তর থেকে যাচাই করে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নিয়োগকর্তাদের জন্য। সংকটজনক এ পরিস্থিতিতে এক কোটিরও বেশি অবৈধ অভিবাসীর এখন নাভিশ্বাস অবস্থা।
অভিবাসন সংস্কার নিয়ে অবৈধদের বৈধতা দেওয়া নিয়ে এক দশক ধরে শুধু রাজনৈতিক বিতর্কই হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ উদ্যোগ নিলেও অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে কংগ্রেসের অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হন।
গত নির্বাচনে অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। ওবামা নিজেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিষয়টি যেভাবেই হোক সুরাহা করার। ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যবিমা প্রণয়ন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও যুদ্ধনীতির বিতর্কে আটকা পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এর মধ্যে অভিবাসী গোষ্ঠীগুলোর চাপের মুখেই গত মঙ্গলবার অভিবাসন আইন সংস্কারের নতুন প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়েছে।
কংগ্রেসম্যান লুইস তাঁর প্রস্তাবে বলেছেন, অপরাধী নয়, এমন অবৈধ অভিবাসীরা ৫০০ ডলার জরিমানা দিয়ে এখানে বৈধতার আবেদন করতে পারবেন। অবৈধ অভিবাসীদের প্রমাণ করতে হবে, তাঁদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার রেকর্ড রয়েছে। নতুন এ প্রস্তাবে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার জন্য স্বদেশে ফিরে যেতে হবে না। পাশাপাশি এখানকার শ্রমবাজারে কর্মীসংকট নিরসনের জন্য অস্থায়ীভাবে শ্রমিক আমদানির কথাও বলা হয়েছে কংগ্রেসম্যান লুইসের আইনপ্রস্তাবে।
অভিবাসন আইন সংস্কারের বিল উপস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন করে বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে। রিপাবলিকানদের বক্তব্য, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশে এমনিতেই বেকারত্ব বেড়ে গেছে; নাগরিকেরাই কাজ পাচ্ছে না, এর মধ্যে এক কোটি অবৈধদের বৈধতা দেওয়ার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
অ্যারিজোনা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান জেফ ফ্লেইক বলেছেন, সমন্বিত কর্মসূচি ছাড়া কার্যকরভাবে অভিবাসন আইনের সংস্কার সম্ভব নয়।
No comments