ক্যালিস এগিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে -সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট
অক্সিজেন-চিকিত্সা তা হলে ভালোই কাজে দিচ্ছে! জ্যাক ক্যালিসকে দেখে তা-ই মনে হচ্ছে। পাঁজরে চোটের কারণে ওয়ানডে সিরিজে খেলা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। কাল থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টেও ছিলেন অনিশ্চিত। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে হেরে যাওয়ার পর মরিয়া কোচ মিকি আর্থার যেকোনো মূল্যে দলে চেয়েছিলেন ক্যালিসকে। এর জন্য তাঁকে অক্সিজেন চেম্বারে নিয়ে চিকিত্সা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন কোচ।
শেষ পর্যন্ত ক্যালিস অক্সিজেন-চিকিত্সা নিয়েছেন কি না, কে জানে। তবে কাল তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হলো, চিকিত্সা তিনি নিয়েছেন। এবং সেটি দারুণ কাজেও দিয়েছে। ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরি করে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির তালিকায় ছুঁয়ে ফেলেছেন স্টিভ ওয়াহকে। এই তালিকায় তাঁর আগে আছেন আরও চারজন। সুনীল গাভাস্কার আর ব্রায়ান লারা দুজনেরই ৩৪টি করে। ৪৩টি সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে শচীন টেন্ডুলকার। দ্বিতীয় স্থানে রিকি পন্টিং (৩৮)। এতে শুধু যে নিজের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হয়েছে, তা নয়; প্রথম দিন শেষে দলকেও এগিয়ে দিলেন ক্যালিস। তাঁর সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনের খেলা শেষের আগে ৪ উইকেটে ২৬২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ক্যালিস, সঙ্গী জেপি ডুমিনির রান ৩৮।
তবে স্কোরবোর্ডে এক রান উঠতে না-উঠতেই গ্রায়েম স্মিথকে তুলে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো শূন্য রানে আউট স্মিথ, যার তিনটি শূন্যই সেঞ্চুরিয়নে। এ মাঠের সঙ্গে বুঝি শত্রুতা আছে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের! সেঞ্চুরিয়নে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সেই ছয় বছর আগে। পরের ১১ ইনিংসে কোনো ফিফটি পর্যন্ত নেই।
সেঞ্চুরিয়নের সঙ্গে আবার হাশিম আমলার দারুণ সুসম্পর্ক। এ মাঠে এর আগে খেলা চার ইনিংসে তিনটি ফিফটি আর একটা সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু কাল আমলাকেও বঞ্চিত করল সেঞ্চুরিয়ন। বঞ্চিত করলেন আসলে গ্রাহাম অনিয়নস, স্লিপে কলিংউডের ক্যাচ বানিয়ে। ক্যালিসের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ার পর অ্যাশওয়েল প্রিন্সও বিদায় নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৯৩/৩।
কিন্তু প্রথম দিনটা যে ইংল্যান্ডের হতে দেবেন না বলে পণ করেছিলেন ক্যালিস! এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তুললেন। জুটি ভাঙার সব রকম চেষ্টা, এমনকি হাতে থাকা শেষ ‘রেফারেল’টাও খরচ করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। ঠিক তখনই গ্রায়েম সোয়ানের আপাত নিরীহ-দর্শন কিন্তু খানিকটা বাড়তি টার্ন ও বাউন্স পাওয়া বলের শিকার ডি ভিলিয়ার্স। ৬৬ রানের জুটির সেখানেই সমাপ্তি।
তবে ক্যালিস এখনো অটল। ডুমিনিকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে এরই মধ্যেই তুলে ফেলেছেন ১০৩ রান।
শেষ পর্যন্ত ক্যালিস অক্সিজেন-চিকিত্সা নিয়েছেন কি না, কে জানে। তবে কাল তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হলো, চিকিত্সা তিনি নিয়েছেন। এবং সেটি দারুণ কাজেও দিয়েছে। ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরি করে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির তালিকায় ছুঁয়ে ফেলেছেন স্টিভ ওয়াহকে। এই তালিকায় তাঁর আগে আছেন আরও চারজন। সুনীল গাভাস্কার আর ব্রায়ান লারা দুজনেরই ৩৪টি করে। ৪৩টি সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে শচীন টেন্ডুলকার। দ্বিতীয় স্থানে রিকি পন্টিং (৩৮)। এতে শুধু যে নিজের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হয়েছে, তা নয়; প্রথম দিন শেষে দলকেও এগিয়ে দিলেন ক্যালিস। তাঁর সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনের খেলা শেষের আগে ৪ উইকেটে ২৬২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ক্যালিস, সঙ্গী জেপি ডুমিনির রান ৩৮।
তবে স্কোরবোর্ডে এক রান উঠতে না-উঠতেই গ্রায়েম স্মিথকে তুলে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো শূন্য রানে আউট স্মিথ, যার তিনটি শূন্যই সেঞ্চুরিয়নে। এ মাঠের সঙ্গে বুঝি শত্রুতা আছে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের! সেঞ্চুরিয়নে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সেই ছয় বছর আগে। পরের ১১ ইনিংসে কোনো ফিফটি পর্যন্ত নেই।
সেঞ্চুরিয়নের সঙ্গে আবার হাশিম আমলার দারুণ সুসম্পর্ক। এ মাঠে এর আগে খেলা চার ইনিংসে তিনটি ফিফটি আর একটা সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু কাল আমলাকেও বঞ্চিত করল সেঞ্চুরিয়ন। বঞ্চিত করলেন আসলে গ্রাহাম অনিয়নস, স্লিপে কলিংউডের ক্যাচ বানিয়ে। ক্যালিসের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ার পর অ্যাশওয়েল প্রিন্সও বিদায় নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৯৩/৩।
কিন্তু প্রথম দিনটা যে ইংল্যান্ডের হতে দেবেন না বলে পণ করেছিলেন ক্যালিস! এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তুললেন। জুটি ভাঙার সব রকম চেষ্টা, এমনকি হাতে থাকা শেষ ‘রেফারেল’টাও খরচ করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। ঠিক তখনই গ্রায়েম সোয়ানের আপাত নিরীহ-দর্শন কিন্তু খানিকটা বাড়তি টার্ন ও বাউন্স পাওয়া বলের শিকার ডি ভিলিয়ার্স। ৬৬ রানের জুটির সেখানেই সমাপ্তি।
তবে ক্যালিস এখনো অটল। ডুমিনিকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে এরই মধ্যেই তুলে ফেলেছেন ১০৩ রান।
No comments