হকি খেলোয়াড়দের ক্যাম্প বর্জন
খেলা শেষ। ডাগআউটে দাঁড়িয়ে থাকা কোচ পিটার গেরহার্ডের সঙ্গে একে একে লাইন ধরে হাই-ফাইভ করলেন রাসেল মাহমুদ জিমি, আসাদুজ্জামান চন্দনরা। বিজয় দিবস হকিতে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে বেশ তৃপ্তই মনে হলো জার্মান কোচকে। কিন্তু তখনো তিনি জানেননি খেলোয়াড়দের মনে কী ক্ষোভটাই না লুকিয়ে!
একটু পরই ব্যাপারটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার করে দিলেন আসাদুজ্জামান চন্দন। জার্মানিতে থাকার সময় কোচের সঙ্গে নানা কারণে মতবিরোধ এবং তাঁর ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র কথা তুলে আসন্ন এসএ গেমসের ক্যাম্প বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যাম্পের ১৯ জন খেলোয়াড়।
ক্ষোভের সলতেটা জ্বলছিল জাতীয় দল জার্মানিতে থাকার সময়ই। দেশে ফিরে খেলোয়াড়েরা নানা অভিযোগ তোলেন কোচের বিরুদ্ধে। প্র্যাকটিসে না আসা, তাঁদের সময় না দেওয়া, কোনো ম্যাচ না দেখেই খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা—অভিযোগের তালিকা বেশ লম্বাই ছিল। আগুনে ঘি ঢেলে দিল বিজয় দিবসের টুর্নামেন্টে হকি ফেডারেশন একাদশ থেকে কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের বাদ পড়ার ব্যাপারটা। প্রথম ম্যাচ শেষেই তাঁরা নিয়ে নিলেন চরম ওই সিদ্ধান্ত। দলের স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদ জিমি জানালেন, ‘আমরা পুরো সফরটা শেষ করে এলাম, কিন্তু কোচের দেখা পাইনি। ছিনতাইকারীর হাতে মার খেয়েছি, তিনি আমাদের জন্য কিছুই করেননি।’ তিনি এমনও বলেছেন, ‘কোনো জিমিকে চিনি না, চন্দনকে চিনি না। আমি নাম্বার হিসেবে চিনি। যদি নাম্বার হিসেবেই চিনে থাকেন আমাদের, তাহলে চন্দনকে কেন বাদ দিলেন? এখন আমরা এ কোচের অধীনে ক্যাম্প করব না।’ কোচ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ওরা যা বলেছে, সেটা মিথ্যা। ওদের কথা ঠিক নয়।’ তিনি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মাঠে বসে দেখেননি সত্যি, তবে ইউরোপ সফরের আটটি ম্যাচের ভিডিও জোগাড় করে সেটি দেখেই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছেন। সফরের বেশির ভাগ সময় দলের সঙ্গে থাকতে না পারার কারণ হিসেবে ফেডারেশনের আর্থিক সমস্যার কথাই বললেন তিনি, ‘ফেডারেশন যদি আমাকে সব কটি ম্যাচে যাওয়ার খরচ না দেয়, তাহলে আমার নিজের টাকা খরচ করে তো আর সব ম্যাচ দেখতে যাওয়া সম্ভব নয়।’
কাল অবশ্য খেলা দেখে বেশ খুশিই হয়েছেন কোচ, ‘আমি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি।’ তবে এই একাদশে চন্দন এবং অন্য তিন সিনিয়র খেলোয়াড়কে না রাখার পক্ষে তাঁর যুক্তি, ‘এটা আসলে প্র্যাকটিস ম্যাচ। এখানে আমি সবাইকে না-ও খেলাতে পারি। এরপর যেকোনো ম্যাচেই ওরা খেলতে পারে।’ জিমির ব্যাপারে তিনি একটু হতাশই, ‘ওর পারফরম্যান্স আসলেই নিচে নেমে গেছে। ওর আরও উন্নতি করা উচিত ছিল।’ এমন আন্দোলনে খেলোয়াড়েরা নিজেদেরই ক্ষতি করছে বলে মত দিলেন তিনি। ভারতের ঘরোয়া হকি দল এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে কোচের, ‘এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের অনেক উঁচু মানের দল। ওদের সঙ্গে ফেডারেশনের কথাবার্তা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ওরা এখানে খেলতে আসবে। সাফের প্রস্তুতিতে এটা দারুণ কাজে লাগবে।’ কোচ যখন দলের প্রস্তুতির কথা ভাবছেন, ফেডারেশন কর্তারা ভাবছিলেন সমস্যা সমাধানের পথ। কাল গভীর রাত অবধি আলোচনা করে এর সমাধানও করে ফেলেছেন বলে জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জামিলউদ্দিন, ‘এটা আসলে সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি ছিল, সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। কাল (আজ) সকাল থেকে যথারীতি প্র্যাকটিস হবে।’ তবে সিনিয়র খেলোয়াড় আসাদুজ্জামান চন্দন বলেছেন, ‘কোনো সমাধানই হয়নি। আমরা সিনিয়ররা প্র্যাকটিস করছি না। জুনিয়র খেলোয়াড়েরা করলে করতে পারে।
একটু পরই ব্যাপারটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার করে দিলেন আসাদুজ্জামান চন্দন। জার্মানিতে থাকার সময় কোচের সঙ্গে নানা কারণে মতবিরোধ এবং তাঁর ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র কথা তুলে আসন্ন এসএ গেমসের ক্যাম্প বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যাম্পের ১৯ জন খেলোয়াড়।
ক্ষোভের সলতেটা জ্বলছিল জাতীয় দল জার্মানিতে থাকার সময়ই। দেশে ফিরে খেলোয়াড়েরা নানা অভিযোগ তোলেন কোচের বিরুদ্ধে। প্র্যাকটিসে না আসা, তাঁদের সময় না দেওয়া, কোনো ম্যাচ না দেখেই খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা—অভিযোগের তালিকা বেশ লম্বাই ছিল। আগুনে ঘি ঢেলে দিল বিজয় দিবসের টুর্নামেন্টে হকি ফেডারেশন একাদশ থেকে কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের বাদ পড়ার ব্যাপারটা। প্রথম ম্যাচ শেষেই তাঁরা নিয়ে নিলেন চরম ওই সিদ্ধান্ত। দলের স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদ জিমি জানালেন, ‘আমরা পুরো সফরটা শেষ করে এলাম, কিন্তু কোচের দেখা পাইনি। ছিনতাইকারীর হাতে মার খেয়েছি, তিনি আমাদের জন্য কিছুই করেননি।’ তিনি এমনও বলেছেন, ‘কোনো জিমিকে চিনি না, চন্দনকে চিনি না। আমি নাম্বার হিসেবে চিনি। যদি নাম্বার হিসেবেই চিনে থাকেন আমাদের, তাহলে চন্দনকে কেন বাদ দিলেন? এখন আমরা এ কোচের অধীনে ক্যাম্প করব না।’ কোচ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ওরা যা বলেছে, সেটা মিথ্যা। ওদের কথা ঠিক নয়।’ তিনি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মাঠে বসে দেখেননি সত্যি, তবে ইউরোপ সফরের আটটি ম্যাচের ভিডিও জোগাড় করে সেটি দেখেই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছেন। সফরের বেশির ভাগ সময় দলের সঙ্গে থাকতে না পারার কারণ হিসেবে ফেডারেশনের আর্থিক সমস্যার কথাই বললেন তিনি, ‘ফেডারেশন যদি আমাকে সব কটি ম্যাচে যাওয়ার খরচ না দেয়, তাহলে আমার নিজের টাকা খরচ করে তো আর সব ম্যাচ দেখতে যাওয়া সম্ভব নয়।’
কাল অবশ্য খেলা দেখে বেশ খুশিই হয়েছেন কোচ, ‘আমি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি।’ তবে এই একাদশে চন্দন এবং অন্য তিন সিনিয়র খেলোয়াড়কে না রাখার পক্ষে তাঁর যুক্তি, ‘এটা আসলে প্র্যাকটিস ম্যাচ। এখানে আমি সবাইকে না-ও খেলাতে পারি। এরপর যেকোনো ম্যাচেই ওরা খেলতে পারে।’ জিমির ব্যাপারে তিনি একটু হতাশই, ‘ওর পারফরম্যান্স আসলেই নিচে নেমে গেছে। ওর আরও উন্নতি করা উচিত ছিল।’ এমন আন্দোলনে খেলোয়াড়েরা নিজেদেরই ক্ষতি করছে বলে মত দিলেন তিনি। ভারতের ঘরোয়া হকি দল এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে কোচের, ‘এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের অনেক উঁচু মানের দল। ওদের সঙ্গে ফেডারেশনের কথাবার্তা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ওরা এখানে খেলতে আসবে। সাফের প্রস্তুতিতে এটা দারুণ কাজে লাগবে।’ কোচ যখন দলের প্রস্তুতির কথা ভাবছেন, ফেডারেশন কর্তারা ভাবছিলেন সমস্যা সমাধানের পথ। কাল গভীর রাত অবধি আলোচনা করে এর সমাধানও করে ফেলেছেন বলে জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জামিলউদ্দিন, ‘এটা আসলে সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি ছিল, সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। কাল (আজ) সকাল থেকে যথারীতি প্র্যাকটিস হবে।’ তবে সিনিয়র খেলোয়াড় আসাদুজ্জামান চন্দন বলেছেন, ‘কোনো সমাধানই হয়নি। আমরা সিনিয়ররা প্র্যাকটিস করছি না। জুনিয়র খেলোয়াড়েরা করলে করতে পারে।
No comments