গাজায় ত্রাণের জন্য দাঁড়িয়ে থাকাদের ওপর বিমান হামলা, নিহত ১০০
রোববার (১ ডিসেম্বর) গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, এতে কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এর আগে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমান অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি এবং ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন ও সেভ দ্য চিলড্রেন-এর চারজন কর্মী নিহত হন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বাধায় গাজার অর্ধেকের বেশি জনগণের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না। চরম সংকটে রয়েছে উপত্যকার প্রায় সব অঞ্চল। শিশুদের মধ্যে রোগ-বালাই বাড়ছে এবং এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা আরও বাড়বে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উত্তর গাজায় নিষিদ্ধ থার্মোব্যারিক বোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। এই বোমাগুলোতে প্রচণ্ড তাপ এবং চাপ তৈরি হয়, যা মানুষের শরীর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কাছাকাছি অবস্থান করা কোনো কিছু ধ্বংস করে ফেলে।
অপরদিকে গাজার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছে। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতির সময় ২০ থেকে ৩০ দিন হতে পারে এবং এই সময়ে ইসরায়েল ও হামাস জিম্মি বিনিময় করতে পারে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ছবি : সংগৃহীত |
No comments