পাবনা সেচ প্রকল্পের বাঁধে প্রভাবশালীদের দোকান



পাবনার সাঁথিয়া সদরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল আই-৩ এবং সেকেন্ডারী সেচ খাল এস-৮ এর দু’পাড়ের ডাইক বাঁধ অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট তুলে ভাড়া দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকাপাট উচ্ছেদে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের সাঁথিয়া উপবিভাগীয় কার্যালয়ে পাশের আইÑ৩, এস-৮ সেকেন্ডারী ক্যানালটি পৌরসভা সদর ও গৌরিগ্রাম ইনিয়নের মধ্যে দিয়ে তালপট্টি নদীর শুকা হয়ে কৈটোলা স্লুইসগেট পর্যন্ত চলে গেছে। এলাকাবাসী এই নৌপথে সাঁথিয়াতে যাতায়াত ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী আনানেয়া করতো। নদীর উৎসমুখে স্লুইসগেট নির্মাণ করে পানির প্রবাহ আটকে দিয়ে পাবনা প্রকল্পের এস-৮ সেকেন্ডারী সেচ ক্যানেল তৈরি করা হয়। ক্রুটিপূর্ণ এই ক্যানেলে গত ২০ বছরে সেচের জন্য পানির প্রবাহ ঘটানো সম্ভব হয়নি। এদিকে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্যানেলের দু’পাড় অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছে এবং দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছে। ভারাটিয়ারা তাদের ইচ্ছামত মুদিদোকান, সেলুন,চায়েরদোকান, ওয়ার্কশপ ও ইট বালুসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে পরিচালনা করছে। এদিকে ক্যানালটির পানি প্রবাহের প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার চাষিরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাবনা সেচ প্রকল্পের আই-৩, এস-৮ ক্যানালের দু’পাড়ের ব্যবসায়ীরা জানায়, তারা পাবনা সেচ প্রকল্পের রাজস্ব বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে নগদ টাকা দিয়ে লীজ গ্রহন করা হয়েছে। এ ব্যাপরে বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, পাবনা সেচ প্রকল্পের আই-৩ এস-৮ ক্যানালটি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লীজ প্রদান করা হয় নাই এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.