ভারতের জরুরি অবস্থাকে নাৎসি শাসনের সঙ্গে তুলনা আদভানির
ভারতে ১৯৭৫ থেকে ’৭৭ সাল পর্যন্ত জরুরি অবস্থাকে জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারের সময়কার নাৎসি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ নেতা ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি। গত সোমবার আদভানি তাঁর নতুন ব্লগে এ কথা লিখেছেন। ওই লেখার শিরোনাম দিয়েছেন, ‘১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা ও নাৎসি শাসন একই’।
আদভানি তাঁর লেখায় ‘নাৎসি’ শব্দটি কেন ব্যবহার করলেন সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তবে তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক এইচ আর খান্নার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। ভিন্ন মতাবলম্বী এই বিচারক নাৎসি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় মেইনটেনেন্স অব ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা এমআইএসএর অধীনে আটক করা ব্যক্তিদের বিষয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের আবেদনের মামলায় তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
জরুরি অবস্থার সময় এক লাখ ১০ হাজার ৮০৬ জনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন আদভানি। তিনি লিখেছেন, ‘এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৯৮৮ জনকেই আটক করা হয় এমআইএসএর অধীনে।’ এই অ্যাক্টের অধীনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই যে কাউকে আটক করা যায়।
আদভানি লিখেছেন, ওই অ্যাক্টের আওতায় আটক করা ব্যক্তি অনেকেই আটকাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন, কিন্তু সরকার সুপ্রিম কোর্টে তা চ্যালেঞ্জ করে।
ব্লগে আদভানি লিখেছেন, ‘জরুরি অবস্থার সময় স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মৌলিক অধিকার রহিত করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় মহাজোটের নেতাদের এবং গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ (সেন্সরশিপ) করা হয়। চরম সাম্প্রদায়িক ও বামপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জরুরি অবস্থার ১৯ মাসে এক লাখের বেশি মানুষকে আটক করা হয়। বিচার বিভাগের ক্ষমতা অনেকাংশে খর্ব করা হয়। রাষ্ট্রের ও দলের অসীম ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে। দেশের মানুষের একটা বড় অংশ প্রথম দিকে জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছিল; কেননা, এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু বাকস্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কারণে এর সমালোচনা করেন মানবাধিকারকর্মীরা। দুঃখজনকভাবে ওই সময়ে অতি উৎসাহের সঙ্গে পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা এবং বস্তি উচ্ছেদের মতো অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের ‘অপকর্ম’ করার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করায় কংগ্রেসকে দোষারোপ করেন এল কে আদভানি। তিনি লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এ অপরাধ মার্জনার যোগ্য নয়।’
আদভানির মতে, ‘সব অপকর্মের দায় সঞ্জয় গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়ে তাঁকে বলির পাঁঠা বানানোর চেষ্টা হাস্যকর।’
কংগ্রেস অ্যান্ড দ্য মেকিং অব ইন্ডিয়ান নেশন নামে একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। ওই বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আদভানি এ কথা বলেন। জরুরি অবস্থার সময় সঞ্জয় গান্ধীর ক্ষমতার ব্যবহারকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করা হয়েছে কংগ্রেসের ওই বইতে।
আদভানি জানান, কংগ্রেসের ওই বইতে জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে মাত্র দুটি অনুচ্ছেদে, অথচ জরুরি অবস্থা ঘোষণার পটভূমি ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুই পৃষ্ঠাজুড়ে।
বিজেপির নেতা লিখছেন, ‘গত ৬০ বছরে যখনই কোনো শাসক বিচার বিভাগের কোনো রায়কে নিজের জন্য অগ্রহণযোগ্য মনে করেছেন, তখনই তিনি আইন বিভাগের সমর্থনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ১৯৭৫ সালেও এ কাজটি করা হয়েছে আইন সংশোধনের মাধ্যমে। শুধু সেটুকু করেও ক্ষান্ত হননি ইন্দিরা গান্ধী। মন্ত্রিসভা, এমনকি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করেই তিনি রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদকে জরুরি অবস্থা জারি করতে বলেন।’
আদভানি তাঁর লেখায় ‘নাৎসি’ শব্দটি কেন ব্যবহার করলেন সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তবে তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক এইচ আর খান্নার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। ভিন্ন মতাবলম্বী এই বিচারক নাৎসি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় মেইনটেনেন্স অব ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা এমআইএসএর অধীনে আটক করা ব্যক্তিদের বিষয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের আবেদনের মামলায় তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
জরুরি অবস্থার সময় এক লাখ ১০ হাজার ৮০৬ জনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন আদভানি। তিনি লিখেছেন, ‘এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৯৮৮ জনকেই আটক করা হয় এমআইএসএর অধীনে।’ এই অ্যাক্টের অধীনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই যে কাউকে আটক করা যায়।
আদভানি লিখেছেন, ওই অ্যাক্টের আওতায় আটক করা ব্যক্তি অনেকেই আটকাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন, কিন্তু সরকার সুপ্রিম কোর্টে তা চ্যালেঞ্জ করে।
ব্লগে আদভানি লিখেছেন, ‘জরুরি অবস্থার সময় স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মৌলিক অধিকার রহিত করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় মহাজোটের নেতাদের এবং গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ (সেন্সরশিপ) করা হয়। চরম সাম্প্রদায়িক ও বামপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জরুরি অবস্থার ১৯ মাসে এক লাখের বেশি মানুষকে আটক করা হয়। বিচার বিভাগের ক্ষমতা অনেকাংশে খর্ব করা হয়। রাষ্ট্রের ও দলের অসীম ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে। দেশের মানুষের একটা বড় অংশ প্রথম দিকে জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছিল; কেননা, এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু বাকস্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কারণে এর সমালোচনা করেন মানবাধিকারকর্মীরা। দুঃখজনকভাবে ওই সময়ে অতি উৎসাহের সঙ্গে পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা এবং বস্তি উচ্ছেদের মতো অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের ‘অপকর্ম’ করার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করায় কংগ্রেসকে দোষারোপ করেন এল কে আদভানি। তিনি লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এ অপরাধ মার্জনার যোগ্য নয়।’
আদভানির মতে, ‘সব অপকর্মের দায় সঞ্জয় গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়ে তাঁকে বলির পাঁঠা বানানোর চেষ্টা হাস্যকর।’
কংগ্রেস অ্যান্ড দ্য মেকিং অব ইন্ডিয়ান নেশন নামে একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। ওই বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আদভানি এ কথা বলেন। জরুরি অবস্থার সময় সঞ্জয় গান্ধীর ক্ষমতার ব্যবহারকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করা হয়েছে কংগ্রেসের ওই বইতে।
আদভানি জানান, কংগ্রেসের ওই বইতে জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে মাত্র দুটি অনুচ্ছেদে, অথচ জরুরি অবস্থা ঘোষণার পটভূমি ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুই পৃষ্ঠাজুড়ে।
বিজেপির নেতা লিখছেন, ‘গত ৬০ বছরে যখনই কোনো শাসক বিচার বিভাগের কোনো রায়কে নিজের জন্য অগ্রহণযোগ্য মনে করেছেন, তখনই তিনি আইন বিভাগের সমর্থনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ১৯৭৫ সালেও এ কাজটি করা হয়েছে আইন সংশোধনের মাধ্যমে। শুধু সেটুকু করেও ক্ষান্ত হননি ইন্দিরা গান্ধী। মন্ত্রিসভা, এমনকি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করেই তিনি রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদকে জরুরি অবস্থা জারি করতে বলেন।’
No comments