এক-দুইয়ের লড়াইয়ে সমতাই থাকল
এই ইনিংসে বীরেন্দর শেবাগের ব্যাটিং-বৃত্তান্ত দেখুন। ৪০ বলে ১১ রান! দশের বেশি রান করেছেন এমন ইনিংসে শেবাগের সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট। কিংবা শচীন টেন্ডুলকারের কথা ধরুন। ১২ রান থেকে ১৩-তে পৌঁছাতে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি রানের মালিক মাঝখানে ১২ ওভারে কোনো রানই নেননি।
এ রকম টুকরো ছবি জোড়া লাগানোর পর যে চিত্রটি হয়, সেটিই হলো। নিষ্প্রাণ ড্র হলো ম্যাচ। শেষ দিনের ভাঙা উইকেটে ওভারপিছু ৩.৮ রান করে তোলার অবিশ্বাস্য লক্ষ্যের পেছনে ছোটার বোকামি ভারত করেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররাও হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি। এত উত্তেজনা ছড়িয়েও কেপটাউন টেস্ট ড্র, সিরিজের ফলাফলও তাই। ‘ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ শেষ পর্যন্ত অজেয় থেকে গেল ভারতের কাছে।
প্রথম দুই সেশনেই আসলে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল খেলার ফল। ওই দুই সেশনে মাত্র দুটি উইকেট নিতে পারল স্মিথের দল। চতুর্থ দিনের শুরু আর শেষের দিকের ভয়ংকর উইকেটটা কাল যেন ঘুমিয়ে পড়েছিল। দিনের শুরুতে নতুন বলে ডেল স্টেইন আর মরনে মরকেল কিছুটা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু তৃতীয় দিনে স্টেইন যে আগুনটা ঝরিয়েছিলেন, সেটি কাল পারেননি। দিনের খেলা ৮ ওভার বাকি থাকতে দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নিয়েছেন। ভারতের স্কোর তখন ১৬৬/৩।
ভারত সাবধানী শুরু করেছিল দিনের শুরুতেই। রানের চেয়ে উইকেটে টিকে থাকার দিকেই বেশি তাগিদ। লাঞ্চের আগে শেবাগ আউট হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য মনে হয়েছিল, কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু গম্ভীর আর রাহুল দ্রাবিড় মিলে পার করে দেন পরের ৩৭ ওভার। চা-বিরতির সাত ওভার আগে দ্রাবিড় ম্যাচে সতসোবের প্রথম শিকার হওয়ার সময়ও ম্যাচের ভাগ্য ঝুলে ছিল ড্রয়ের দিকে। ২ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে চা-বিরতিটা নির্বিঘ্নেই সারে ভারত। গম্ভীর তখন ৬২ রানে অপরাজিত, ৭ রান করা টেন্ডুলকারও সেট হয়ে গেছেন উইকেটে।
কিছুটা উত্তেজনা ফেরে চা-বিরতির পর। হ্যারিসের বল মাঝেমধ্যেই বিপদবার্তা দিচ্ছিল। স্টেইনও চেষ্টা করে গেছেন। গম্ভীর চা-বিরতির পর আর ২ রান যোগ করে আউটও হয়ে যান। কিন্তু এর পরই আসলে সবচেয়ে বড় পাহাড়টার সামনে এসে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টেন্ডুলকারের সঙ্গে যোগ দেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
এই পাহাড় আর ডিঙানো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের পর নিজেদের মাটিতে আর কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার হতাশাই তাই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। হতাশা? এক নম্বর দলের বিপক্ষে দুই নম্বর দলের জন্য এটি স্বস্তিরও যে নয়, কে বলতে পারে!
এ রকম টুকরো ছবি জোড়া লাগানোর পর যে চিত্রটি হয়, সেটিই হলো। নিষ্প্রাণ ড্র হলো ম্যাচ। শেষ দিনের ভাঙা উইকেটে ওভারপিছু ৩.৮ রান করে তোলার অবিশ্বাস্য লক্ষ্যের পেছনে ছোটার বোকামি ভারত করেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররাও হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি। এত উত্তেজনা ছড়িয়েও কেপটাউন টেস্ট ড্র, সিরিজের ফলাফলও তাই। ‘ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ শেষ পর্যন্ত অজেয় থেকে গেল ভারতের কাছে।
প্রথম দুই সেশনেই আসলে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল খেলার ফল। ওই দুই সেশনে মাত্র দুটি উইকেট নিতে পারল স্মিথের দল। চতুর্থ দিনের শুরু আর শেষের দিকের ভয়ংকর উইকেটটা কাল যেন ঘুমিয়ে পড়েছিল। দিনের শুরুতে নতুন বলে ডেল স্টেইন আর মরনে মরকেল কিছুটা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু তৃতীয় দিনে স্টেইন যে আগুনটা ঝরিয়েছিলেন, সেটি কাল পারেননি। দিনের খেলা ৮ ওভার বাকি থাকতে দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নিয়েছেন। ভারতের স্কোর তখন ১৬৬/৩।
ভারত সাবধানী শুরু করেছিল দিনের শুরুতেই। রানের চেয়ে উইকেটে টিকে থাকার দিকেই বেশি তাগিদ। লাঞ্চের আগে শেবাগ আউট হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য মনে হয়েছিল, কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু গম্ভীর আর রাহুল দ্রাবিড় মিলে পার করে দেন পরের ৩৭ ওভার। চা-বিরতির সাত ওভার আগে দ্রাবিড় ম্যাচে সতসোবের প্রথম শিকার হওয়ার সময়ও ম্যাচের ভাগ্য ঝুলে ছিল ড্রয়ের দিকে। ২ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে চা-বিরতিটা নির্বিঘ্নেই সারে ভারত। গম্ভীর তখন ৬২ রানে অপরাজিত, ৭ রান করা টেন্ডুলকারও সেট হয়ে গেছেন উইকেটে।
কিছুটা উত্তেজনা ফেরে চা-বিরতির পর। হ্যারিসের বল মাঝেমধ্যেই বিপদবার্তা দিচ্ছিল। স্টেইনও চেষ্টা করে গেছেন। গম্ভীর চা-বিরতির পর আর ২ রান যোগ করে আউটও হয়ে যান। কিন্তু এর পরই আসলে সবচেয়ে বড় পাহাড়টার সামনে এসে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টেন্ডুলকারের সঙ্গে যোগ দেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
এই পাহাড় আর ডিঙানো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের পর নিজেদের মাটিতে আর কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার হতাশাই তাই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। হতাশা? এক নম্বর দলের বিপক্ষে দুই নম্বর দলের জন্য এটি স্বস্তিরও যে নয়, কে বলতে পারে!
No comments